ইকুয়েডরে কফিন ঠেলে জেগে উঠলেন মৃত নারী
 প্রকাশিত: 
 ১৭ জুন ২০২৩ ১৫:৪০
 আপডেট:
 ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ১৫:৫৯
 
                                ইকুয়েডরের একটি হাসপাতালে ঘটে গেলো এক অভিনব ঘটনা। ৭৬ বছরের নার্স বেলা মনতোয়াকে মৃত বলে ঘোষণা করে দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা।
অন্তিম যাত্রার জন্য তাঁকে কফিনে সমাধিস্থও করা হয়ে গিয়েছিলো। তখনি কফিনে ধাক্কা দিয়ে আত্মীয়দের হতবাক করে দিলেন ওই নারী। কিভাবে এতো বড় ভুল হলো তার জন্য হাসপাতালের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।
বেলার ছেলে গিলবার্তো বারবেরা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেছেন, ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন যে তার মায়ের অবস্থা গুরুতর। তারপর যা ঘটলো তা সত্যিই ভয় পাওয়ার মতো।
স্ট্রোক এবং কার্ডিওপালমোনারি অ্যারেস্টে আক্রান্ত হওয়ার পরে অবসরপ্রাপ্ত নার্স বেলা মনতোয়াকে শুক্রবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ইকুয়েডরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যখন তিনি চিকিৎসায় সাড়া দেয়া বন্ধ করে দেন তখন তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
বারবেরা জানান যে তার মা অজ্ঞান ছিলেন যখন তাকে ইমার্জেন্সি বিভাগে আনা হয়েছিল। কয়েক ঘন্টা পরে একজন ডাক্তার তাকে জানান যে মা মারা গেছেন এবং বেলা মনতোয়ার মৃত্যুর শংসাপত্র তাঁকে হস্তান্তর করা হয় ।
তারপরে বেলা পরিবার তাঁর কফিনটিকে একটি অন্ত্যেষ্টি গৃহে নিয়ে আসে।
এদিকে শুক্রবার রাতে সেই ঘর থেকে অদ্ভুত শব্দ শুনতে পান ওই নার্সের পরিবারের লোকজন। 
বারবেরা বলেছিলেন - ''সেখানে আমরা প্রায় ২০ জন ছিলাম। আমার মা কফিনের ভেতর থেকে আঘাত করছিলেন। আমরা যখন কাছে গেলাম আমরা দেখতে পেলাম যে তিনি প্রচণ্ড জোরে শ্বাস নিচ্ছেন।" 
স্বজনরা মনতোয়াকে কেন্দ্রীয় শহর বাবাহায়োর হাসপাতালে নিয়ে যান। বারবেরার দাবি, যেখানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছিলেন যে তাঁর মা তিনি নিবিড় পরিচর্যায় ছিলেন। তিনি ইনটিউবেশনের অধীনে ছিলেন, চিকিৎসকরা কোনো আসার কথা শোনাতে পারছিলেন না সেখানে এই ধরণের ঘটনা তাঁর মার সাথে কিভাবে ঘটলো? 
মন্ত্রণালয় বলেছে যে বেলা মনতোয়ার চিকিৎসার সাথে জড়িত ডাক্তারদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা হয়েছে এবং হাসপাতালটি কীভাবে মৃত্যুর আগেই শংসাপত্র জারি করলো তা পর্যালোচনা করার জন্য একটি প্রযুক্তিগত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

 
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: