পেটের জোড়া লাগা যমজ শিশুর জন্ম
 প্রকাশিত: 
 ৬ মে ২০২১ ১৭:৩৬
 আপডেট:
 ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ১৫:৩৩
 
                                মৌলভীবাজার শহরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে পেটে জোড়া লাগা যমজ শিশুর জন্ম হয়েছে। ওই যমজ শিশুর পেট একত্রে জোড়া লাগানো। তবে তাদের হাত-পা, মুখ ও মাথাসহ অন্যান্য অঙ্গ আলাদা। তারা দুজনই মেয়েসন্তান। জন্মের পর থেকে শিশু দুটি সুস্থ রয়েছে।
বুধবার রাতে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের গাইনি চিকিৎসক ফারজানা হক পর্ণা ও এনেসথেসিস্ট ডা. বিএসএম এরশাদের এক ঘণ্টা চেষ্টায় সিজারের মাধ্যমে বাচ্চা দুটির জন্ম দেন প্রসূতি তাকলিমা।
তাকলিমা কমলগঞ্জ উপজেলার সিঙ্গরাউলি গ্রামের জুয়েল মিয়ার স্ত্রী।
হাসপাতাল থেকে জানা যায়, রাত ১০টায় একই পেটের জোড়া কন্যাশিশুর জন্ম হয়। জন্মের পরে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. এমএ হক তাদের দেখে ঢাকায় গিয়ে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দেন।
জানা যায়, জুয়েল আহমদ পেশায় একজন পান দোকানদার। কমলগঞ্জ উপজেলার শমসেরনগর বাজারে তার একটি পান দোকান রয়েছে। এ দোকানের সামান্য আয় দিয়েই তার পরিবার চলে। জুয়েল আহমদের পরিবারে তার এক বোন ও ৫ বছরের আরেকটি মেয়েসন্তান রয়েছে।
জুয়েল আহমদ বলেন, স্থানীয় চিকিৎসকরা বলছেন ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে শিশু দুটি আলাদা করা সম্ভব। তবে তাড়াতাড়ি করতে হবে। এতে বড় অংকের টাকাও ব্যয় হবে। তার স্বল্প আয় দিয়ে এ ব্যয় বহন করা কোনো অবস্থাতেই সম্ভব নয়। তিনি প্রধানমন্ত্রী, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, প্রবাসী ও সমাজের বিত্তশালীদের সহযোগিতা চেয়েছেন।
প্রাইভেট হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. শামীম আলম বলেন, আল্ট্রাসনোগ্রাম করে দেখতে হবে বাচ্চা দুটির হৃদপিণ্ড ও পাকস্থলী আলাদা কিনা। এগুলো আলাদা হলে অস্ত্রোপাচার করে তাদের পৃথক করা সম্ভব।
তবে যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় শিশু হাসপাতালে গিয়ে বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা নিলে বাচ্চাদের জন্য ভালো হয়। বড় হলে তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপনে কষ্ট হবে।

 
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: