বিশ্বের শ্রেষ্ঠ পানি জমজম
 প্রকাশিত: 
 ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০০:২৬
 আপডেট:
 ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ২১:৫২
 
                                মহান আল্লাহর অলৌকিক সৃষ্টি জম জম কুপ । আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন দুনিয়ার বুকের শ্রেষ্ঠত্ব পানি হল জমজম। যাতে রয়েছে ক্ষুধা নিবারণের খাদ্য ও রোগ নিরাময়ের ওষুধ। আল্লাহর সৃষ্টির অসীম এক কুদরত জমজম কূপ।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) প্রিয় জন্মভূমি সৌদি আরবের মক্কা নগরীর মসজিদুল হেরাম ঘিরে বায়তুল্লাহ কাবারের পার্শে এ জমজম কূপ।
জমজম কূপ সৃষ্টির ইতিহাস আজও বিস্ময়কর। পবিত্র জমজম নিয়ে রাসুলের (সা.) বহু হাদিস রয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো, ‘পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ পানি হলো জমজমের পানি। তাতে রয়েছে তৃপ্তির খাদ্য ও ব্যাধির আরোগ্য।’ (আল-মুজামুল আউসাত, হাদিস : ৩৯১২)।
এ দিকে হাদীসের আলোকে জাপানের বিখ্যাত গবেষক মাসরু এমোতো জমজমের পানি নিয়ে গবেষণা করেছেন। সেখানে তিনি দেখেছেন, আসলেই জমজমের পানি শ্রেষ্ঠ।
দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন ওয়েবসাইটে প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা যায়, মাসরু এমোতো জানিয়েছেন, জমজমের এক ফোঁটা পানির যে নিজস্ব খনিজ গুণাগুণ আছে, তা পৃথিবীর অন্য কোনো পানিতে নেই। সাধারণ পানির এক হাজার ফোঁটার সঙ্গে যদি জমজমের পানির এক ফোঁটা মেশানো হয়, তাহলে সেই মিশ্রণও জমজমের পানির মতো বিশুদ্ধ হয়। কেননা জমজমের পানির মতো বিশুদ্ধ পানি পৃথিবীর অন্য কোথাও পাওয়া যাবে না।
জাপানি বিজ্ঞানী মাসরু এমোতো ন্যানো প্রযুক্তি ব্যবহার করে গবেষণা করেছেন জমজমের পানির ওপর। কেনো জমজমের পানি পৃথিবীর বিশুদ্ধতম পানি তার কিছু বৈজ্ঞানিক ধারণা বের করেছেন গবেষণার মাধ্যমে।
তিনি জানান, এক ফোঁটা জমজমের পানিতে যে পরিমাণ আকরিক পদার্থ থাকে তা পৃথিবীর অন্য কোনো পানিতে থাকে না। জমজমের পানির গুণগত মান কখনো পরিবর্তিত হয় না। সাধারণ কূপের পানিতে জলজ উদ্ভিদ জন্মালেও জমজম কূপের পানিতে কোনো জলজ উদ্ভিদ বা অন্যান্য উদ্ভিদজাত অণুজীব জন্মায় না।
জমজমের পানিতে যেসব আকরিক পদার্থ পাওয়া গেছে তার মধ্যে ক্যালসিয়াম, ফ্লোরাইড, সোডিয়াম, ক্লোরাইড, সালফেট, নাইট্রেট, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম উল্লেখযোগ্য।
ফ্লোরাইড ছাড়া বাকি মিনারেলগুলোর মাত্রা অন্যসব স্বাভাবিক খাবার পানিতে পাওয়া মাত্রা থেকে বেশি ছিল। জমজমের পানিতে এন্টিমনি, বেরিলিয়াম, ব্রোমাইন,কোবাল্ট, বিস্মুথ, আয়োডিন আর মলিবডেনামের মতো পদার্থগুলোর মাত্রা ছিল ০.০১পিপিএম থেকেও কম। ক্রোমিয়াম, ম্যাংগানিজ আর টাইটানিয়ামের মাত্রা ছিল একেবারেই নগণ্য।
জাপানি বিজ্ঞানীর পরীক্ষা অনুযায়ী জমজমের পানির পিএচ হচ্ছে ৭ দশমিক। যেটি সামান্য ক্ষারজাতীয়। বিজ্ঞানী তার পরীক্ষায় আর্সেনিক, ক্যাডমিয়াম, সীসা এবং সেলেনিয়ামের মতো ক্ষতিকর পদার্থগুলো ঝুঁকিমুক্ত মাত্রায় পেয়েছেন। যে মাত্রাগুলোতে মানুষের কোনো ক্ষতি হয় না।
মাসারু তার পরীক্ষায় জমজমের পানির এমন এক ব্যতিক্রমধর্মী মৌলিক আকার পেয়েছেন যেটি খুবই চমকপ্রদ। পানির দুইটি স্ফটিক সৃষ্টি হয়। একটি আরেকটির উপরে কিন্তু সেগুলো একটি অনুপম আকার ধারণ করে।
হযরত ইবরাহিম (আ.)-এর পুত্র হজরত ইসমাঈল ও স্ত্রী হাজেরা (আ.)-এর এই স্মৃতিকে মহান আল্লাহ এতটাই বরকতময় করে রেখেছেন যে, পৃথিবীতে এই পানির নজির আর তিনি রাখেননি।

 
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: