বৃহঃস্পতিবার, ৯ই মে ২০২৪, ২৬শে বৈশাখ ১৪৩১

আসন্ন সেচ মৌসুমে বিদ্যুৎ চাহিদা ১৭৮০০ মেগাওয়াট


প্রকাশিত:
২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৭:৩৯

আপডেট:
৯ মে ২০২৪ ০৬:২৭

ফাইল ছবি

আসন্ন ২০২৪ সালে সেচ মৌসুমে বিদ্যুৎ সামগ্রিক চাহিদা ১৭ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিদ্যুৎ ভবনে আসন্ন সেচ মৌসুমে সেচ পাম্পসমূহে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সভায় মোট ১৭টি সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। জানুয়ারি, ২০২৪ হতে সেচ মৌসুম শুরু হবে এবং এপ্রিল, ২০২৪ পর্যন্ত চলমান থাকবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত সেচ মৌসুমে এপ্রিল মাসে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ১৬ হাজার মেগাওয়াট। আসন্ন ২০২৪ সালে সেচ মৌসুমে বিদ্যুতের সামগ্রিক চাহিদা ১৭ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে মোট সেচ সংযোগের সংখ্যা ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৮৫১টি এবং অপেক্ষমান আবেদন সংখ্যা ৯ হাজার ৪৩২টি। শুধু সেচের জন্য জানুয়ারি ২০২৪-এ ৩৪৭ মেগাওয়াট, ফেব্রুয়ারি ২০২৪-এ ৮৬৫ মেগাওয়াট, মার্চ ২০২৪-এ ১৯৪৯ মেগাওয়াট, এপ্রিল ২০২৪-এ ২৫৯০ মেগাওয়াট, মে ২০২৪-এ ২৫৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আসন্ন সেচ মৌসুমে গ্যাসের চাহিদা ১৭৬০ এমএমসিএফডি এবং ন্যূনতম ১৫৪০ এমএমসিএফডি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়াও ফার্নেস অয়েলের চাহিদা ১ লাখ ৫৪ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন এবং ডিজেলের চাহিদা ১৫ হাজার ৬০০ মেট্রিন টন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জ্বালানি বিভাগ থেকে জানানো হয়, ফার্নেস অয়েল ও ডিজেলের কোনো ঘাটতি নেই এবং চাহিদা মোতাবেক সরবরাহ করা হবে।

এছাড়াও আসন্ন সেচ মৌসুমে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য গ্যাস, ফার্নেস অয়েল ও ডিজেল সরবরাহ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে পরিকল্পনা মাফিক যার যার অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পিক-আওয়ার পরিহার করে রাত্র ১১:০০ টার পর থেকে পরের দিন সকাল ৭:০০টা পর্যন্ত অফ পিক-আওয়ারে সেচ পাম্প ব্যবহারের বিষয়ে প্রচারণা ও সঞ্চালন লাইনের প্রয়োজনীয় মেরামত বা সংস্কার করাসহ সেচ কার্যক্রম পরিবীক্ষণের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের আওতাধীন বিতরণ সংস্থা/কোম্পানিসমূহে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা আবশ্যক।

আসন্ন সেচ মৌসুমে জ্বালানি পরিবহণের ক্ষেত্রে যাতে কোনো প্রকার সমস্যা না হয় সে বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ, বিআইডব্লিউটিসি, বিআইডব্লিউটিএ ও বিপিসি'র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বাবিউবো) পক্ষ থেকে যোগাযোগ রক্ষা করে জ্বালানি পরিবহণ নিশ্চিত করা; সেচ পাম্পে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গ্রিড উপকেন্দ্র, সঞ্চালন লাইন, বিতরণ লাইন ও উপকেন্দ্রসমূহ সংরক্ষণ ও মেরামত কাজ জরুরি ভিত্তিতে সম্পন্ন করতে হবে। ওভারলোডেড সাবস্টেশনসমূহ ও সঞ্চালন লাইনের আপ-গ্রেডেশনের কাজ দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করাসহ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে ন্যূনতম ২ (দুই) মাসের উৎপাদন ক্ষমতা রাখার জন্য জ্বালানি তেলের মজুদ নিশ্চিতকরণ। সেচ পাম্পে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ তদারকির জন্য মনিটরিং কমিটি গঠন এবং গঠিত মনিটরিং কমিটির কার্যক্রম জোরদারকরণ।

আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় অন্যান্যের মাঝে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলম, পিডিবি’র চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ রেলপথ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দফতর প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top