দিনাজপুরের ইউএনও ফজলে এলাহীকে কুড়িগ্রামে বদলি
প্রকাশিত:
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:২৫
আপডেট:
৩ এপ্রিল ২০২৫ ০৫:৪৩

দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফজলে এলাহীকে (পরিচিতি নং-১৮১৫১) কুড়িগ্রাম জেলার চর রাজিবপুরে বদলি করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে রংপুর বিভাগের সহকারী কমিশনার আজিজ সারতাজ জায়েদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে {স্মারক নং-০৫.৪৭.০০০০.০০৬.০৮.০০২.২২-২৩৬/৪(২০)} ফজলে এলাহীসহ মোট চারজন উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বদলি করা হয়। জনস্বার্থে জারীকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।
অভিযোগ উঠেছে, মো. ফজলে এলাহী কোনপ্রকার পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই একক সিদ্ধান্তে রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারী) সকালে দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার চারটি হিমাগার সিলগালা করেন। বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ এসোসিয়েশন কর্তৃক ঘোষিত ও নির্ধারণকৃত ভাড়া যথার্থ নয়- এমন অভিযোগে হিমাগারগুলো সিলগালা করেন তিনি। সিলগালাকৃত হিমাগারগুলো হচ্ছে- বীরগঞ্জের মাল্টিপারপাস হিমাদ্রি এ্যাগ্রো প্রসেসিং কোম্পানি লিমিটেড, দলুয়ার শাহী হিমাগার লিমিটেড, রাহবার হিমাগার লিমিটেড এবং হাবলুর হাটের শাহী হিমাগার লিমিটেড।
সিলগালার বিষয়টি বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ এসোসিয়েশনের সভাপতি দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অবগত করেন। পাশাপাশি সারাদেশে একযোগে বড় কর্মসূচী ঘোষণার প্রস্তুতি নেয়ার প্রাক্কালে গতকাল রোববার) রাতেই ফজলে এলাহীকে কুড়িগ্রামে বদলি করা হয়।
উল্লেখ্য, নির্ধারিত ভাড়া যৌক্তিকতা নির্ণয়ের জন্য হিমাগার মালিকদের দাবীর প্রেক্ষিতে সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটি কমিটি করেছেন যার রিপোর্ট এখোনো আসেনি। এরইমধ্যে বীরগঞ্জের ইউএনও ফজলে এলাহীর এহেন কর্মকান্ড কোল্ড স্টোরেজ মালিকদের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
এ বিষয়ে মো. ফজলে এলাহীর মুঠোফোনে কল দিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি আইন মেনেই দায়িত্ব পালন করেছি। কৃষকদের দাবির প্রেক্ষিতে উল্লেখিত হিমাগার চারটিতে অভিযান পরিচালনা করেছি, অন্য কোন উদ্দেশ্যে নয়’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: