মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু
প্রকাশিত:
৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ২০:১৯
আপডেট:
৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৫:৫৬
কুকুরছানা হত্যার দায়ে মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন গৃহবধূ নিশি রহমান (৩৮)। থানা থেকে তাকে নেওয়া হয় আদালতে। সেখান থেকে পাঠানো হয় কারাগারে। তবে অভিযুক্ত এই মায়েরও রয়েছে দুই বছরের সন্তান। তাই মায়ের সঙ্গে কারাগারে রয়েছে ছোট্ট শিশুটিও।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ঈশ্বরদী থানা থেকে নিশি রহমানকে নেওয়া হয় পাবনা আমলী আদালত-২ এ। আদালতে নামার পর তার কোলে দেখা যায় শিশু সন্তান। দুই বছরের শিশু সন্তানটির নাম আনাফ। পরে জামিন নামঞ্জুর করে নিশি রহমানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। মায়ের সঙ্গে কারাগারে যায় শিশুটিও।
পাবনার জেল সুপার ওমর ফারুক বলেন, ‘যতদূর শুনেছি বাচ্চা এখনো মায়ের বুকের দুধ খায়। তাই তার মায়ের সঙ্গে কারাগারেই থাকবে।’
নিশি রহমানের স্বামী ঈশ্বরদী উপজেলা পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশন কর্মকর্তা হাসানুর রহমান নয়ন মোবইল ফোনে বলেন, ‘আমার তিন সন্তান। দুই ছেলে ও এক মেয়ে। বড়টা মেয়ে। আর কারাগারে মায়ের সঙ্গে রয়েছে ছোট ছেলে। ওর বয়স দুই বছর।’
তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রীর জন্য আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে জামিন আবেদন করেছিলাম। কিন্তু শুনানি হয়নি। বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। আগামী রোববার (৬ ডিসেম্বর) শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনের একটি কোণায় থাকতো একটি কুকুর। এক সপ্তাহ আগে কুকুরটি ৮টি বাচ্চা প্রসব করে। গত সোমবার সকাল থেকে তার ছানাগুলো না পেয়ে পাগল প্রায় অবস্থায় কান্না আর ছুটাছুটি করতে দেখা যায় মা কুকুরকে।
পরে উপজেলা পরিষদের কর্মচারীরা জানতে পারেন, ঈশ্বরদী উপজেলা পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশন কর্মকর্তা হাসানুর রহমান নয়নের স্ত্রী জীবন্ত ৮টি কুকুর ছানাকে বস্তার মধ্যে বেঁধে রোববার রাতের কোনো এক সময় ফেলে দেন উপজেলা পরিষদের পুকুরে। পরদিন সোমবার সকালে পুকুর থেকে কুকুরছানাগুলোর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকলিমা খাতুন বাদী হয়ে নিশি রহমানকে আসামি করে থানায় একটি মামলাটি করেন। পরে রাতেই ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: