নীলফামারীতে তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি, শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন
প্রকাশিত:
২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:০০
আপডেট:
২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৪:০৬
উত্তরের জেলা নীলফামারীতে হিমেল হাওয়ার সঙ্গে জেঁকে বসা শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। শীতের দাপটে বেশ কাবু হয়ে পড়েছেন দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। ঘন কুয়াশায় ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল ও স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সেই সঙ্গে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে হাসপাতালে।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ডিমলা আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সপ্তাহ ধরে ১০ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, দিনের অধিকাংশ সময় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় সূর্য উত্তাপ ছড়াতে না পারায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘরের বাইরে বের না হওয়ার কারণে রাস্তাঘাট, বাজার, শপিংমলে লোকজনের উপস্থিতি খুব কম। সরকারি-বেসরকারি অফিসে চাকরিজীবীরা আসলেও কাজকর্মে চলছে স্থবিরতা। জীবিকার দাগিতে নিম্ন আয়ের মানুষেরা বের হয়ে বিপাকে পড়েছেন।
শহরের রিকশাচালক হালিম আলি বলেন, সকালে রিকশা নিয়ে বের হয়েছি, খুব কুয়াশা আর শীতের কারণে মানুষ গাড়িতে উঠছে না।
নীলফামারী জেলা সিভিল সার্জন ডা. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তীব্র শীতের কারণে জেলা উপজেলার হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শীতের কারণে শিশু ও বয়স্করা বেশি রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এসময়ে তাদের চলাচলে সচেতন হতে হবে।
ডিমলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর সবুর বলেন, আজকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সপ্তাহ ধরে ১০ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। আগামী দিনে শীত ও কুয়াশার পরিমাণ বাড়বে।
নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বলেন, এবার শীত মোকাবেলায় ছয় উপজেলায় ৩৬ লাখ টাকা ও ৭ হাজার ৫০০ কম্বল বরাদ্দ এসেছে। শীত মোকাবিলায় প্রয়োজনে আরও শীত বস্ত্রের জন্য আবার আবেদন করা হবে।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: