বিজিএমইএ নির্বাচন: টেকসই শিল্প গড়তে ১৪ দফা ইশতেহার ঘোষণা ফোরামের
প্রকাশিত:
২৫ মে ২০২৫ ১১:৪৪
আপডেট:
২৫ মে ২০২৫ ১৮:৩১

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) নির্বাচন সামনে রেখে ১৪ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে ফোরাম প্যানেল। পোশাক খাতকে টেকসই ও গতিশীল করতে এই প্রতিশ্রুতিগুলো সামনে এনেছে তারা।
শনিবার রাজধানীর উত্তরা এলাকায় বিজিএমইএ ভবনে এক অনুষ্ঠানে প্রার্থী পরিচিতির মাধ্যমে এই ইশতেহার ঘোষণা করা হয়। ফোরামের প্যানেল লিডার মাহমুদ হাসান খান বাবু সাংবাদিক ও সদস্যদের সামনে পুরো ইশতেহার তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ফোরাম সভাপতি আব্দুস সালাম, মহাসচিব ড. রশিদ আহমেদ হোসাইনী, প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক ফয়সাল সামাদসহ অন্যান্য প্রার্থী। সভাপতিত্ব করেন নির্বাচনী বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইকবাল। এ ছাড়া, সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান সিনহা এবং আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজও উপস্থিত ছিলেন।
১৪ দফা ইশতেহারে যেসব গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গীকার— পোশাক খাতের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি, আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কাছ থেকে ন্যায্য মূল্য আদায়ের ব্যবস্থা, নতুন বাজার খুঁজে সম্প্রসারণ এবং অঞ্চলভিত্তিক সংকট মোকাবিলায় সেল গঠন, ক্রেতাদের অযৌক্তিক চাপ মোকাবেলায় কঠোর অবস্থান গ্রহণ, বিজিএমইএ পরিচালনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা, সদস্যদের সমস্যা সমাধানে নির্দিষ্ট পরিচালকদের দায়িত্ব নিশ্চিত করা ও শ্রমিকদের আধুনিক প্রশিক্ষণ দিয়ে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করা।
প্যানেল লিডার মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, আমরা সদস্যদের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে একটি কার্যকর ও সবার জন্য উপকারী বিজিএমইএ গড়ে তুলতে চাই। নির্বাচিত হলে, পরিচালকদের নির্দিষ্ট কারখানার দায়িত্ব দেওয়া হবে, যাতে জরুরি সময়ে পাশে থাকতে পারেন।
তিনি আরও জানান, এই প্যানেল গঠন করা হয়েছে অভিজ্ঞ উদ্যোক্তা, তরুণ ও উদ্যমী নেতৃত্বকে গুরুত্ব দিয়ে। এতে এসএমই উদ্যোক্তা ও নারী নেতৃত্ব—দুই ক্ষেত্রেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, সাধারণ সদস্যদের সামনে ফোরাম প্রার্থীদের পরিচিতি অনুষ্ঠানও সম্পন্ন হয়েছে। সেখানে প্যানেল লিডার তার সহপ্রার্থীদের সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন।
ফোরাম ৩৫টি পদেই প্রার্থী দিয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ২৬টি এবং চট্টগ্রামে ৯টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে তারা। তাদের ব্যালট নম্বর ১ থেকে ৩৫ পর্যন্ত নির্ধারিত হয়েছে।
ফোরাম নেতারা মনে করেন, যদি তারা বিজয়ী হন, তবে হারানো ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার এবং পোশাক শিল্পের ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকর উদ্যোগ নিতে পারবেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: