পায়ে লিখেই ভর্তি পরীক্ষা দিলেন হাবিবুর
প্রকাশিত:
৬ জুন ২০২৩ ০২:১৯
আপডেট:
১৩ মার্চ ২০২৫ ১৫:৩৭

জন্ম থেকে দুই হাত নেই হাবিবের। তাই বলে থেমে যায়নি তার পথচলা। পায়ের ওপরই রেখেছেন ভরসা। এখন দৃঢ় মনোবল আর প্রচণ্ড ইচ্ছেশক্তির গুণেই স্বপ্ন জয়ের পথে ছুটছেন তিনি।
সোমবার (৫ জুন) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ‘ডি’ ইউনিটের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন হাবিব।
কৃষক বাবার সন্তান হাবিবুর রহমান। বাড়ি রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায়। আব্দুস সামাদ ও হেলেনা খাতুন দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে সবচেয়ে ছোট তিনি। প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে ভর্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন তিনি। জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে নিজেকে দেশসেবায় নিয়োজিত করতে চান হাবিব।
হাবিবুর ২০২০ সালে দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ ৪.৬৩ এবং ২০২৩ সালে আলিম পরীক্ষায় জিপিএ ৪.৫৭ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। এর আগে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।
হাবিবুর বলেন, আলিম পরীক্ষার পরই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার স্বপ্ন জাগে। পরিবারের অনুপ্রেরণা পেয়েই আমি আজ এতোদূর আসতে পেরেছি। কখনও প্রতিবন্ধকতার শিকার হতে হয়নি। সবাই ভালোভাবে নিয়েছেন। আমি জীবনে ভালো মানুষ হতে চাই।
প্রতিবন্ধকতার বিষয়ে তিনি বলেন, ইচ্ছে শক্তি থাকলে সব কিছু সম্ভব। চেষ্টা করলেই আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দেবেন। চেষ্টা না করলে আসলে কোনো কিছু সম্ভব না। সবাইকে চেষ্টা করা উচিত। কষ্ট হবে বিপদ আসবে। এর মাধ্যমে জয় করতে হবে। চেষ্টা না করলে কোনো কিছুই সম্ভব নয়।
তার প্রতিবেশী আজমল হোসেন বলেন, ছেলে আমার সম্পর্কে ভাতিজা হয়। শারীরিক গঠনে অন্য আট-দশ জনের মতো না হলেও কোনো দিক হতে পিছিয়ে নেই। ছোট থেকেই সে অনেক মেধাবী।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: