৫ বিভাগ-জেলা থেকে দেওয়া হচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি পরীক্ষার সনদ
 প্রকাশিত: 
 ৫ জুলাই ২০২৫ ০৭:০০
 আপডেট:
 ৪ নভেম্বর ২০২৫ ১৬:২০
                                জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২২ সালের ডিগ্রি (পাস) পরীক্ষার সাময়িক সনদপত্র ও ট্রান্সক্রিপ্ট বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যা চলবে চলতি ২৪ জুলাই পর্যন্ত। গাজীপুরের মূল ক্যাম্পাসসহ দেশের পাঁচটি আঞ্চলিক কেন্দ্র- রাজশাহী, বগুড়া, সিলেট, হবিগঞ্জ ও গাজীপুর থেকে এ সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট (নম্বরপত্র) বিতরণ করা হচ্ছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট কলেজের প্রাধিকারপ্রাপ্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে নির্ধারিত আঞ্চলিক কেন্দ্র থেকে সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট সংগ্রহ করতে হবে। কোনো শিক্ষার্থী বা অননুমোদিত ব্যক্তি সনদ গ্রহণ করতে পারবে না। আর প্রতি কলেজকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এসব নথি গুনে বুঝে নিতে হবে।
বিভিন্ন বিভাগের আওতায় থাকা জেলা ও উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য নির্ধারিত কেন্দ্রগুলো হচ্ছে- রাজশাহী আঞ্চলিক কেন্দ্র থেকে রাজশাহী, পাবনা, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা এবং নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার কলেজগুলোর সনদ বিতরণ করা হবে।
এছাড়া কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা সরকারি কলেজ ও দৌলতপুর কলেজও এই কেন্দ্র থেকে সনদ পাবে। বগুড়া আঞ্চলিক কেন্দ্র নির্ধারিত হয়েছে সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, জয়পুরহাট এবং বগুড়া জেলার কলেজগুলোর জন্য। সিলেট আঞ্চলিক কেন্দ্র থেকে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার পাশাপাশি মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা, রাজানগর, জুড়ী ও কুলাউড়া উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সনদ নিতে পারবে।
এ ছাড়া হবিগঞ্জ আঞ্চলিক কেন্দ্র থেকে হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পাশাপাশি মৌলভীবাজার জেলার সদর, শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলা, কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলা এবং নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার কলেজগুলোর প্রতিনিধিরা সনদ সংগ্রহ করতে পারবেন। রাজধানী ঢাকাসহ ময়মনসিংহ বিভাগ, কুমিল্লা, চাঁদপুর এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সনদ বিতরণ করা হবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস, গাজীপুর থেকে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট গ্রহণের সময় যদি কোনো ধরনের সমস্যা দেখা যায় (যেমন- সনদ কম বা বেশি প্রিন্ট হওয়া, ডাবল প্রিন্ট হওয়া বা ভুলক্রমে অন্য কলেজের নথি চলে আসা) সেক্ষেত্রে তা লিখিতভাবে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে সর্বোচ্চ ৩০ দিনের মধ্যে জানাতে হবে। নির্ধারিত সময়ের পর কোনো অভিযোগ গ্রহণ করা হবে না এবং এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত ধরে নেওয়া হবে।
সম্প্রতি প্রকাশিত এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তিতে সনদপত্র ও ট্রান্সক্রিপ্ট বিতরণ সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক কেন্দ্র বা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী, গাজীপুর ক্যাম্পাস ও আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলোতে যথাসময়ে উপস্থিত থেকে প্রতিনিধিদের সনদ সংগ্রহ করতে হবে।
ডিএম /সীমা

                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: