সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে যা বলছে মন্ত্রণালয়
প্রকাশিত:
২ আগস্ট ২০২৫ ১৯:১১
আপডেট:
২ আগস্ট ২০২৫ ২৩:৪৬

দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদের এক সংবাদ সম্মেলনে যেসব মন্তব্য করা হয়েছে, তা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে।
শনিবার (২ আগষ্ট) এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলেছে, দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার মানোন্নয়নে একাধিক কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃত্তি পরীক্ষা’ চালু রয়েছে। মূলত সরকারি স্কুলগুলোতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই নিম্নআয়ের পরিবারের সন্তান। এই বৃত্তি পরীক্ষার মাধ্যমে তারা আর্থিকভাবে উৎসাহিত হয় এবং শিক্ষাজীবনে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সক্ষম হয়।
বিপরীতে, কিন্ডারগার্টেনগুলোর অধিকাংশ শিক্ষার্থী তুলনামূলকভাবে স্বচ্ছল পরিবার থেকে আসে। তাদের জন্য তাদের নিজস্ব অ্যাসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনায় দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ‘কিন্ডারগার্টেন বৃত্তি পরীক্ষা’ চালু রয়েছে, যেখানে সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের সুযোগ নেই।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, সরকারি স্কুলে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন ধরে বৃত্তি পরীক্ষার দাবি জানানো হচ্ছিল। তাই এই বৃত্তি পরীক্ষা চালু করা হয়েছে একধরনের সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে। এটি কোনোভাবেই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্য সৃষ্টি করে না।
সরকার আরও জানায়, সংবিধানের ১৭(ক) অনুচ্ছেদ এবং ১৯৯০ সালের ‘বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা আইন’ অনুযায়ী সরকার দেশের সব শিশুর জন্য অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করছে। সরকারি স্কুলে পড়া বাধ্যতামূলক হলেও কিন্ডারগার্টেনে ভর্তি হওয়া একান্তভাবে অভিভাবকের ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়। সেখানে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের কোনো নীতি প্রযোজ্য নয়।
এতে আরও বলা হয়েছে, যারা নিজেদের সন্তানদের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পড়ান, তারা স্বেচ্ছায় তা করেন। এসব বিবেচনায় ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃত্তি পরীক্ষা’ বৈষম্যমূলক, এমন অভিযোগ সঠিক নয়। কারণ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা, বাংলাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গমনোপযোগী সব শিশুর জন্যই উন্মুক্ত।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: