জাকসু নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু
প্রকাশিত:
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১০:৩৮
আপডেট:
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৩:২৬

৩৩ বছর পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ, যা চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। একইসঙ্গে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি আবাসিক হল সংসদের নির্বাচনও।
সকাল থেকেই ক্যাম্পাসজুড়ে বিরাজ করছে ভোটের আমেজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলের ভোটকেন্দ্রগুলোতে সকাল ৮টা থেকেই রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। ভোটগ্রহণের সময় সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য।
নির্বাচনে এবার মোট ভোটার সংখ্যা ১১ হাজার ৯১৯ জন। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি আবাসিক হলের ২২৪টি বুথে। এর মধ্যে ১১টি ছাত্র হল এবং ১০টি ছাত্রী হল। প্রতিটি বুথে দায়িত্ব পালন করছেন একজন করে রিটার্নিং কর্মকর্তা, পোলিং কর্মকর্তা এবং সহকারী পোলিং কর্মকর্তা।
ভোট দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় সংসদ এবং হল সংসদের বিভিন্ন পদে। কেন্দ্রীয় সংসদের নির্বাচনে মোট প্রার্থী ১৭৮ জন। এর মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৯ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৯ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে ৬ জন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে ১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটাররা কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট ৪০টি ব্যালটে তাদের পছন্দের প্রার্থীদের নির্বাচিত করবেন।
এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে মোট ৮টি প্যানেল। এসব প্যানেলের মধ্যে রয়েছে ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির, বাম সংগঠনসমূহ, প্রগতিশীল জোট এবং বিভিন্ন স্বতন্ত্র প্যানেল। প্রতিটি প্যানেল নির্বাচনী প্রচারে তুলে ধরেছে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ইস্যু— যেমন অধিকার, নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবহন সমস্যা, আবাসন সংকট এবং একাডেমিক জবাবদিহিতা।
নির্বাচন ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ফটকে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গেরুয়া এলাকা সংলগ্ন ফটকে ঝুলানো হয়েছে ‘বহিরাগত নিষিদ্ধ’ লেখা ব্যানার। অন্যান্য ফটকের তুলনায় গেরুয়া ফটকে বেশি সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, কারণ অতীত অভিজ্ঞতা অনুযায়ী ওই পথ দিয়ে বহিরাগতদের প্রবেশের চেষ্টা বেশি হয়।
ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবেই চলছে এবং কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর নেই। তবে পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা রাখা হয়েছে, যাতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট সম্পন্ন করা যায়।
ভোটগ্রহণ শেষে বিশেষ ওএমআর (অপটিক্যাল মার্ক রিডার) মেশিনে গণনা করা হবে ভোট। ফলে ফলাফল দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে ঘোষণা করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: