বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ১৯শে বৈশাখ ১৪৩১


রেজিস্ট্রেশনের অর্থ ফেরত পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা


প্রকাশিত:
১০ অক্টোবর ২০২০ ২৩:৪৩

আপডেট:
২ মে ২০২৪ ১৩:৩৪

ছবি- সংগৃহীত

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। ২০২০ শিক্ষাবর্ষে রেজিস্ট্রেশন করা সকল পরীক্ষার্থী অটোপাস পাবেন বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠেছে, পরীক্ষার ফরম পূরণের টাকা ফেরত দেয়া হবে কি-না।

অনেক শিক্ষার্থী-অভিভাবক ইতোমধ্যে ফরম পূরণের টাকা ফেরত দেয়ার দাবি তুলেছেন। তবে এ অর্থ নানা খাতে ব্যয় হয়েছে বিধায় তা আর ফেরত দেয়া সম্ভব নয়, জানিয়েছে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড।

এইচএসসি ও সমমানের একাধিক পরীক্ষার্থী-অভিভাবক জানান, পরীক্ষা বাতিল হয়েছে, সেহেতু পরীক্ষার জন্য আদায় করা ফি ফেরত দেয়া প্রয়োজন। এটা ফেরত পেলে অনেকেরই সুবিধা হবে। বিশেষ করে করোনার কারণে অনেকেরই আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ।

তারা বলেন, সারাদেশের প্রায় ১৪ লাখ পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা করে আদায় হয়েছে। অনেক কলেজ আবার মোটা অঙ্কের অর্থ আদায় করেছে। দ্রুত এসব অর্থ ফেরত দিতে সরকারের কাছে আহ্বান জানান তারা।

তবে শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, এইচএসসির ফরম পূরণের জন্য গত বছরের নভেম্বরে কেন্দ্র ফিসহ বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের দুই হাজার ৫০০ টাকা, মানবিক ও বাণিজ্য শাখার শিক্ষার্থীদের এক হাজার ৯৪০ টাকা করে ফি দিতে হয়েছে। এর মধ্যে বিজ্ঞানে কেন্দ্র ফি (ব্যবহারিক ফিসহ) ৮০৫ টাকা এবং মানবিক ও বাণিজ্যে ৪৪৫ টাকা করে ফি নেয়া হয়েছে।

কেন্দ্রের ফি থেকে ট্যাগ অফিসারের সম্মানীসহ অন্যান্য ব্যয় নির্বাহ করতে বলা হয়। কিন্তু যাদের ব্যবহারিক বিষয় আছে তাদের টাকার সঙ্গে প্রতি পত্রের জন্য আরও ২৫ টাকা করে দিতে হয়েছে। এছাড়া ব্যবহারিক উত্তরপত্র মূল্যায়নে অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত পরীক্ষকের জন্য পত্রপ্রতি ২৫ টাকা করে কেটে নেয়া হয়েছে।

ফরম পূরণের জন্য একজন নিয়মিত শিক্ষার্থীকে প্রতি পত্রের জন্য ১০০ টাকা, ব্যবহারিক প্রতি পত্রের জন্য ২৫ টাকা, একাডেমিক/ট্রান্সক্রিপ্ট ফি ৫০ টাকা, সনদ ফি ১০০ টাকা, রোভার স্কাউট/গার্লস গাইড ফি ১৫ টাকা এবং জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ফি পাঁচ টাকা দিতে হয়েছে। বাস্তবে রাজধানীর অনেক কলেজ বোর্ডের ধার্য করা ফি’র চাইতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেছে। বর্তমানে এসব অর্থ ফেরত চান পরীক্ষার্থী-অভিভাবকরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ডের সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, রেজিস্ট্রেশন ফি ফেরত দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। পরীক্ষা নেয়ার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছিল, প্রশ্নপত্র-উত্তরপত্র (ওএমআর সিট) তৈরি, পরীক্ষার সময়সূচিসহ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছিল। এতে অনেক অর্থ ব্যয় হয়েছে। শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন থেকে পাওয়া অর্থ দিয়েই এসব কাজ করতে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। কিন্তু পরীক্ষা শুরুর সার্বিক প্রস্তুতি আমাদের নিতে হয়েছিল। এ কারণে অর্থ ফেরত দেয়া সম্ভব নয়। শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের অর্থ দিয়ে সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে বলেও জানান তিনি।

গত ৭ অক্টোবর অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, জেএসসি-জেডিসি এবং এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে এইচএসসির ফল প্রকাশ করা হবে।

করোনা পরিস্থিতির উৎকণ্ঠা নিয়ে ছয় মাস পর পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণা দেয়া হয়। করোনা মহামারির কারণে শিক্ষার্থীদের অনেকেই পরীক্ষা না নিয়ে অটোপাসের দাবি তুলেছিল। অভিভাবকদেরও কেউ কেউ পরীক্ষা না নেয়ার পক্ষে মত দেন।

সবশেষ সরকারের পরীক্ষা না নেয়ার সিদ্ধান্তে তারা সাধুবাদ জানান।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top