পাঠ্যবইয়ের ভুলভ্রান্তি সংশোধনে উচ্চ পর্যায়ের দুই কমিটি হচ্ছে
 প্রকাশিত: 
 ২৪ জানুয়ারী ২০২৩ ২০:৪৯
 আপডেট:
 ২৪ জানুয়ারী ২০২৩ ২১:২৬
                                নতুন শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবইতে ভুল-ভ্রান্তি, তথ্য বিকৃতি ও ধর্মীয় উসকানি সংশোধনসহ জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে উচ্চপর্যায়ের দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। এ কমিটিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সম্পৃক্ত থাকবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
তিনি বলেন, আগামী রোববারের মধ্যে এ দুই কমিটির বিস্তারিত রূপরেখা তুলে ধরা হবে।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে নতুন শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবইয়ে ভুল-ভ্রান্তি সংশোধন সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পাঠ্যবইয়ের যে ভুলগুলো চিহ্নিত হচ্ছে সেটা খুব ইতিবাচক ভাবেই দেখছি। এ ভুলগুলো শনাক্ত করতে আমরা দুটো কমিটি করছি। একটি কমিটি আমাদের বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞরা থাকবেন। একইসঙ্গে পাঠ্যবই সংশোধনীতে একটি অনলাইন ফর্ম সরবরাহ করবে মন্ত্রণালয়। এ ফর্মে বিষয়ভিত্তিক বইগুলোর ভুল বা অসঙ্গতি সম্পর্কে দেশ এবং দেশের বাইরে থেকে অবহিত করার সুযোগ থাকবে। ভুলগুলো আমলে নিয়ে আমাদের কমিটির বিশেষজ্ঞরা তা সমাধান করবেন। প্রয়োজনীয় সংশোধনী দেবেন। সেসব সংশোধনী সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
অপরদিকে অন্য কমিটিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রতিনিধিসহ দুই মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, এনসিটিবির প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সংযুক্ত থাকবেন। তারা পাঠ্যবইয়ের এসব অসঙ্গতির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করবেন।
তিনি বলেন, সারা বিশ্বে কাগজ ও বিদ্যুতের সংকট থাকার পরেও আমরা ১ জানুয়ারিতে পাঠ্যবই বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। পাঠ্যপুস্তককে কেন্দ্র করে যেন কোনও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
দীপু মনি বলেন, আজকাল সামাজিক মাধ্যম অনেক সরব, সেই মাধ্যম থেকে শুরু করে, গণমাধ্যম, রাজনীতির মাঠ সব জায়গা থেকেই আমরা বইয়ের ভুলগুলো নিয়ে আলোচনা শুনছি। আমরা আগেও বলেছি আমাদের এই বইগুলো নতুন শিক্ষাক্রমে পরীক্ষামূলকভাবে প্রণয়ন করেছি। আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে মতামত পাচ্ছি, সব জায়গা থেকে পাচ্ছি। আমরা শিক্ষার দায়িত্বে যারা আছি, এই পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে যারা আছি, মানুষের মধ্যে বইগুলো নিয়ে যে আগ্রহ তৈরি হয়েছে সেটিকে আমরা ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি।
হয়তো সর্ষের মধ্যেও কোথাও ভূত আছে। এনসিটিবির ভেতরেও যদি কেউ থেকে থাকে যে কেউ ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে এই ভুলগুলো করেছে। বই ছাপানোর বিষয়টি এত গুরুত্বপূর্ণ যে এখানে ভুল করার বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। কোথাও কারও গাফেলতি বা ইচ্ছাকৃতভাবে নেতিবাচক কোনো দিকে নেওয়ার অভিপ্রায় থেকে থাকলে তা খুঁজে বের করতে আমরা কাজ করছি বলেও যোগ করেন শিক্ষামন্ত্রী৷

                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: