সোমবার, ২১শে এপ্রিল ২০২৫, ৮ই বৈশাখ ১৪৩২


মৃত্যু ১৭ হাজার ছাড়ালো

বাঁচার আশা নিভুনিভু


প্রকাশিত:
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৬:২৯

আপডেট:
২১ এপ্রিল ২০২৫ ২২:৫৭

ছবি সংগৃহিত

তুরস্ক-সিরিয়ায় প্রলয়ংকরী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১৭ হাজার ছাড়িয়েছে। কেবল তুরস্কেই মারা গেছেন ১৪ হাজার ১৪ জন। সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ১৬২ জনে। এর মধ্যে সিরিয়ার সরকারনিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রাণহানি হয়েছে ১ হাজার ২৬২ জন এবং বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ১ হাজার ৯০০ জন। ফলে দুই দেশ মিলিয়ে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ১৭৬ জন।

ভূমিকম্পের পর এরই মধ্যে পেরিয়ে গেছে ৮০ ঘণ্টার বেশি। শেষ হয়নি উদ্ধারকাজ। এখনো বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে তাদের জীবিত উদ্ধারের আশা ক্রমেই ফুরিয়ে আসছে।

গত সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্ক-সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে আঘাত হানে চলতি শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প। ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ওই ভূমিকম্পের পরে আঘাত হানে আরও শতাধিক আফটারশক। এর মধ্যে কয়েকটি ছিল বেশ শক্তিশালী।

বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিপে তাইয়েপ এরদোয়ান জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে তুরস্কে অন্তত ৬ হাজার ৪০০টি ভবন ধসে পড়েছে। এতে ১৪ হাজার নিহতের পাশাপাশি আহত হয়েছেন ৬৩ হাজারের বেশি মানুষ।

এছাড়া সিরিয়ায় এ পর্যন্ত ১৭ হাজার ১৭৬ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। দুই দেশেই হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তুরস্কের উদ্ধারকর্মীরা প্রথম ভূমিকম্পের ৭৭ ঘণ্টা পরে মালটিয়ায় একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে ৬০ বছর বয়সী এক নারীকে উদ্ধার করেছেন। কিন্তু ওই এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাইনাস পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যাওয়ায় আরও মানুষকে জীবিত উদ্ধারের আশা দ্রুত ম্লান হয়ে আসছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়া মানুষের বেঁচে থাকার হার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৭৪ শতাংশ। কিন্তু ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে তা ২২ শতাংশ এবং পঞ্চম দিনে মাত্র ছয় শতাংশে নেমে আসে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top