মঙ্গলবার, ২২শে এপ্রিল ২০২৫, ৯ই বৈশাখ ১৪৩২


এয়ারপোর্ট স্ক্রিনিংয়ে বাংলাদেশের উন্নতি দেখছে যুক্তরাষ্ট্র


প্রকাশিত:
১ মার্চ ২০২৩ ০২:১১

আপডেট:
২২ এপ্রিল ২০২৫ ০৭:৪৮

ছবি সংগৃহিত

সীমান্তে টহল ও বিমানবন্দর নিরাপত্তায় বাংলাদেশের প্রশংসা করে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, বাংলাদেশের স্থল ও সামুদ্রিক সীমানায় টহল দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। একই সঙ্গে হালনাগাদ সরঞ্জাম, পদ্ধতি ও বর্ধিত কর্মীসহ কার্গো ও যাত্রীবাহী বিমানবন্দর স্ক্রিনিংয়ে উন্নতি করেছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।

ইউএস ব্যুরো অব কাউন্টার টেরোরিজমের ‘কান্ট্রি রিপোর্টস অন টেররিজম ২০২১: বাংলাদেশ’ প্রতিবেদনে বাংলাদেশের স্থল ও সামুদ্রিক সীমান্তে টহল দেওয়ার ক্ষমতা এবং কার্গো ও যাত্রীবাহী বিমানবন্দর স্ক্রিনিংয়ে উন্নতি করার কথা বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, এয়ারলাইন নিরাপত্তা ততটা শক্তিশালী না হলেও বাংলাদেশ সবার জন্য ই-পাসপোর্ট চালু করেছে এবং ইন্টারপোলের সাথে তথ্য শেয়ার করেছে। তবে বাংলাদেশের কোনও ডেডিকেটেড সন্ত্রাসী ওয়াচলিস্ট নেই। যে কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ‘সতর্কতা তালিকা’ প্রকল্প সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে।

মার্কিন ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ফ্লাইট আসার আগে যাত্রীদের স্ক্রিনিংয়ের জন্য পদ্ধতিগতভাবে এপিআই/পিএনআর তথ্য ব্যবহার করে না বাংলাদেশ।

কান্ট্রি রিপোর্টস অন টেররিজম (সিআরটি) শীর্ষক প্রতিবেদনে সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ পরিস্থিতি সম্পর্কে বিশদ তথ্য প্রদান করে থাকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর প্রতিবছর সিআরটি রিপোর্টের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে তথ্য প্রকাশ করে থাকে।

এটি যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ সক্ষমতা বাড়াতে এবং স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার জন্য নীতি, কর্মসূচি এবং তহবিল ও সরঞ্জাম বরাদ্দ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে।

মার্কিন এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইন সংশোধিত হলেও সন্দেহভাজন সন্ত্রাসবাদীদের গ্রেপ্তারের ভিত্তি হিসাবে রয়ে গেছে। এছাড়া ২০১৮ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ) অধীনে, পুলিশ অনলাইনে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য প্রচার, অর্থায়ন, উগ্রবাদ ও কথিত চরমপন্থিদের মোকাবিলা করতে পারে।

যদিও অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক সমালোচকরা দাবি করেন, সরকারের সমালোচকদের বিশেষ করে সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের লক্ষ্যবস্তু করতে, হয়রানি এবং গ্রেপ্তার করতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি ব্যবহৃত হয়।

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, সিটিটিসিইউ, সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিট (এটিইউ) এবং র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) সন্দেহভাজন জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান ও গ্রেপ্তার অব্যাহত রেখেছে। সিটিটিসিইউ ৪০টি মামলা তদন্ত করেছে এবং ৮৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বেশিরভাগই ঢাকার।

এছাড়া চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনের কাউন্টার টেররিজম (সিটি) পুলিশ ৪০টি ঘটনায় ব্যবস্থা নিয়েছে এবং ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাংলাদেশে সন্ত্রাস দমনের প্রচেষ্টায় এটিইউ এখনও নেতৃত্ব না দিলেও সংস্থাটি তার সক্ষমতা বাড়িয়েছে এবং প্রায় ৭৫টি মামলা তদন্ত করেছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়া অন্যান্য কাউন্টার টেররিজম তথা সিটি-সম্পর্কিত ইউনিটগুলোর মধ্যে বর্ডার গার্ড, স্পেশাল ব্রাঞ্চ, এভিয়েশন সিকিউরিটি, এয়ারপোর্ট ইমিগ্রেশন পুলিশ এবং এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন রয়েছে উল্লেখ করে মার্কিন প্রতিবেদন বলছে, প্রত্যেকে স্বাধীনভাবে কাজ করেছে।

মেট্রোপলিটন পুলিশ সাইবার, সোয়াট এবং বোমা নিষ্ক্রিয়করণ প্রশিক্ষণের পাশাপাশি মার্কিন সরকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের (এটিটি) বিচারক ও প্রসিকিউটরদের সাক্ষ্য-প্রমাণ পরিচালনা, তদন্ত পরিচালনা এবং সন্ত্রাসী ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের মামলার বিচার, সেইসাথে আদালত কক্ষের নিরাপত্তা বাড়াতে সহায়তা প্রদান করেছে।

এছাড়া পুলিশ এবং বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা সম্পদের সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করেছেন এবং আরও প্রশিক্ষণ ও সহায়তার অনুরোধ করেছেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে দেশটি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top