গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে এক রাতে নিহত ৬৫
 প্রকাশিত: 
 ৩ অক্টোবর ২০২৪ ০৭:৪৭
 আপডেট:
 ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ১৩:২৩
 
                                ইসরায়েলের সেনা বাহিনীর অভিযানে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় এক রাতে নিহত হয়েছেন ৬৫ জন এবং আহত হয়েছেন আরও কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি। স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত চলা এই অভিযানে ঘটেছে নিহত এবং আহতের এসব ঘটনা।
ফিলিস্তিনের বেতার সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব প্যালেস্টাইন এবং গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের গণসংযোগ দপ্তরের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় ইসরায়েলি স্থল বাহিনীর অভিযান। গাজার খান ইউনিস ও তার আশপাশের এলাকায় ৪০ জন কে হত্যা এবং কয়েক ডজন ফিলিস্তিনিকে আহত করার পর উপত্যকার প্রধান শহর গাজা সিটির দিকে অগ্রসর হয় ইসরায়েলি সেনারা। সেখানে তাদের অভিযানে নিহত হয় আরও ২২ জন।
এছাড়া ফিলিস্তিনের বৃহত্তম শরণার্থী শিবির নুসেইরাতের একটি স্কুলে বুধবার রাতে অভিযান চালিয়েছে ইসরয়েলি সেনারা। সেই অভিযানে নিহত হয়েছেন আরও ৩ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন ১৫ জন। ইসরায়েলি বাহিনীর ভাষ্য, নুসেইরাতের এই স্কুলটি কমান্ড সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করাছিল হামাস।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাাশি ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় হামাস ও তার মিত্রগোষ্ঠী প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধারা। এই হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের উদ্ধার করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ), যা এখনও চলছে।
বুধবার যারা হতাহত হয়েছেন, তাদের সংখ্যা হিসেবে ধরে এক বিবৃতিতে গাজার বৃহস্পতিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর গত প্রায় এক বছরের অভিযানে গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪১ হাজার ৬৮৯ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন ৯৬ হাজার ৬২৫ জন।
সূত্র : রয়টার্স

 
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: