সৌদি আরবে সম্পত্তি কেনার সুযোগ পাচ্ছেন প্রবাসীরা
প্রকাশিত:
১০ জুলাই ২০২৫ ১২:০৫
আপডেট:
১০ জুলাই ২০২৫ ১৮:০৯

সৌদি আরবে বসবাসরত প্রবাসীদের জন্য বড় সুখবর দিয়েছে দেশটির সরকার। ২০২৬ সাল থেকে নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে বিদেশি নাগরিক ও কোম্পানিগুলো সম্পত্তি কেনার সুযোগ পাবেন। সম্প্রতি সৌদি মন্ত্রিসভা এ সংক্রান্ত একটি নতুন আইন অনুমোদন করেছে, যা দেশটির অর্থনীতিকে বৈচিত্র্যময় করার উদ্যোগের অংশ।
প্রথম ধাপে বিদেশিদের জন্য যেসব এলাকায় সম্পত্তি কেনার অনুমতি দেওয়া হবে, তার মধ্যে রয়েছে রিয়াদ ও জেদ্দার মতো গুরুত্বপূর্ণ নগরী। এছাড়া আরও কিছু নির্ধারিত এলাকা রয়েছে, যেগুলোর তালিকা পরে প্রকাশ করা হবে।
তবে মক্কা ও মদিনার মতো ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে সম্পত্তি কেনার ক্ষেত্রে থাকবে কঠোর বিধিনিষেধ। এসব এলাকায় বিদেশিদের সম্পত্তি কিনতে হলে বিশেষ অনুমোদনের প্রয়োজন হবে।
এই নতুন আইন ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। এর আগে সৌদি সরকার ‘ইস্তিতা’ নামের একটি পরামর্শভিত্তিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সম্পত্তি সংক্রান্ত নিয়মনীতি, অনুমোদিত এলাকার তালিকা এবং জনমত সংগ্রহ সংক্রান্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে। এই প্রক্রিয়া চলবে ১৮০ দিন পর্যন্ত।
নতুন আইনের আওতায় বিদেশি ব্যক্তি ও কোম্পানিগুলো সৌদি আরবে সম্পত্তি কেনার অনুমতি পাবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার পাশাপাশি আবাসন ও বাণিজ্যিক খাতে ব্যাপক সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে।
সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ কর্মপরিকল্পনার আওতায় দেশটি বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে ও অর্থনীতির ভিত্তি শক্তিশালী করতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই নীতির মাধ্যমে সৌদি সরকার রিয়াদ, জেদ্দা এবং নিওম-এর মতো উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর পাশাপাশি বাণিজ্যিক স্থাপনার চাহিদা পূরণ করতে চায়। একই সঙ্গে সৌদি নাগরিকদের স্বার্থও সংরক্ষণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
সৌদি আরবে বসবাসরত প্রবাসীদের এখনই ‘ইস্তিতা’ প্ল্যাটফর্মে নিয়মিত নজর রাখা এবং আসন্ন নিয়ম-কানুন সম্পর্কে অবগত থাকা জরুরি। ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ সম্পূর্ণ নীতিমালা ও অঞ্চলভিত্তিক নির্দেশনা প্রকাশিত হবে। একই সঙ্গে যে সব ডেভেলপার নতুন বিনিয়োগ প্রকল্পে অংশ নেবে, তাদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করাও গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্লেষকদের মতে, দুবাই, দোহা কিংবা আবু ধাবির মতো শহরে বিদেশিদের সম্পত্তি বিনিয়োগ ইতোমধ্যেই বড় সাফল্য বয়ে এনেছে। সৌদি আরব একই পথ অনুসরণ করলে রিয়াদ ও জেদ্দাও মধ্যপ্রাচ্যের নতুন বিনিয়োগ কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে।
সূত্র: গালফ নিউজ, মিডল ইস্ট আই
ডিএম /সীমা
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: