রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ
ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করতে ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন জেলেনস্কি
প্রকাশিত:
১৮ আগস্ট ২০২৫ ১৬:৩৭
আপডেট:
১৮ আগস্ট ২০২৫ ১৯:০৫

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধাবসানে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করতে ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। আজ সোমবার বিকেলে ট্রাম্প এবং ইউরোপের ২৭টি জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং ইউরোপের প্রথম সারির শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর সরকার প্রধানে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ও দপ্তর হোয়াইট হাউসে হবে এ বৈঠক। হোয়াইট হাউস সূত্রে জানা গেছে, আজ সোমবার স্থানীয় সময় বিকেল ৫ টা ১৫ মিনিটে জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করবেন ট্রাম্প। তারপর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭ টায় ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, ফিনল্যান্ড, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ন্যাটোর নেতা ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। হোয়াইট হাউস সূত্রে জানা গেছে, ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন ও সংহতি জানাতে হোয়াইট হাউসে আসছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ন্যাটোর শীর্ষ নেতারা।
এর আগে গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যুতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। সেই বৈঠকের তিন দিনের মাথায় আজ সোমবার জেলেনস্কি, ইউরোপ এবং ন্যাটোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউস সূত্র এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, শুক্রবার পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের আগ পর্যন্ত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের পর এ ইস্যুতে নিজের অবস্থান পরিবর্তন করেছেন ট্রাম্প। এখন রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে স্থায়ীভাবে যুদ্ধাবসান চান তিনি।
তার বক্তব্যেও এর আভাস পাওয়া গেছে। ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা যদিও একাধিকবার দাবি করেছেন যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যুতে তারা নিরপেক্ষ এবং ট্রাম্প নিজেও একসময় এমনটাই দাবি করতেন— তবে রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের পর বল জেলেনস্কির কোর্টে ঠেলে দিয়েছেন তিনি। উদাহারণ হিসেবে বলা যায়, সোমবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি বলেছেন, যুদ্ধের অবসান ঘটাতে হলে জেলেনস্কিকে অবশ্যই কৃষ্ণ সাগরের উপদ্বীপ ক্রিমিয়াকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিতে হবে এবং কখনও ন্যাটোতে সদস্যপদের জন্য আবেদন না করার অঙ্গীকার করতে হবে।
ট্রাম্পের এই অবস্থানে স্বাভাবিকভাবেই খানিকটা বিচলিত বোধ করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ন্যাটোর সদস্যভুক্ত ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলো। কারণ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ইউরোপের শীর্ষ শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো ব্যাপকভাবে রাশিয়াবিরোধী।
তাই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধাবসানে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে অংশ নিতেই হোয়াইট হাউসে আসছেন ইইউ এবং ইউরোপের নেতারা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: