সোমবার, ১৮ই আগস্ট ২০২৫, ৩রা ভাদ্র ১৪৩২


এবার ট্রাম্পের শান্তিপ্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন জেলেনস্কি


প্রকাশিত:
১৮ আগস্ট ২০২৫ ২০:৫৬

আপডেট:
১৮ আগস্ট ২০২৫ ২৩:১৬

ছবি সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তিপ্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সোমবার ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের আগে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন—ইউক্রেন কোনো ভূখণ্ড ছাড়বে না এবং ন্যাটোতে যোগদানের স্বপ্নও ত্যাগ করবে না।

রোববার ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছিলেন, জেলেনস্কি চাইলে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই শেষ করতে পারেন। নতুবা লড়াই চালিয়ে যেতে পারেন।

ট্রাম্পের মতে, যুদ্ধের অবসান ঘটাতে হলে ইউক্রেনকে দুইটি শর্ত মেনে নিতে হবে— ক্রিমিয়া আর ফেরত পাওয়া যাবে না এবং ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার প্রচেষ্টা ছেড়ে দিতে হবে।

কিন্তু পোস্ট প্রকাশের মাত্র দেড় ঘণ্টা পরই জেলেনস্কি এক্স (টুইটার)-এ জবাব দিয়ে জানান, যুদ্ধ শেষ করার দায় ইউক্রেনের নয়, বরং রাশিয়ার। তিনি লিখেছেন, রাশিয়াই এই যুদ্ধ শুরু করেছে, তাই রাশিয়াকেই যুদ্ধ শেষ করতে হবে। আমি আশা করি আমেরিকা ও ইউরোপীয় বন্ধুদের সঙ্গে আমাদের যৌথ শক্তি রাশিয়াকে প্রকৃত শান্তিতে বাধ্য করবে।

২০১৪ সালে গণভোটের পর ক্রিমিয়াকে রাশিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের সঙ্গে যুক্ত করে। মস্কো দাবি করে, উপদ্বীপের বিপুল সংখ্যক জনগণ রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছিল। অন্যদিকে কিয়েভ তখন পূর্বাঞ্চলে নিজেদের জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছিল বলে অভিযোগ করে রাশিয়া।

যদিও কোনো ছাড় দিতে রাজি নন, তবু ট্রাম্পের হোয়াইট হাউস আমন্ত্রণের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান জেলেনস্কি। তিনি বলেন, আমাদের উভয়ের মধ্যেই এই যুদ্ধ দ্রুত এবং স্থায়ীভাবে শেষ করার দৃঢ় ইচ্ছা রয়েছে।

এর আগে গত শুক্রবার আলাস্কার অ্যাঙ্কোরেজে অনুষ্ঠিত শীর্ষ বৈঠকে পুতিন ও ট্রাম্প দুজনেই ইউক্রেন সংঘাত সমাধানের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছিলেন। বৈঠকের পর পুতিন আবারও পুনর্ব্যক্ত করেন, যুদ্ধের স্থায়ী অবসানের জন্য প্রয়োজন মূল সমস্যাগুলোর সমাধান। রাশিয়ার মতে, দীর্ঘস্থায়ী শান্তি কেবল তখনই সম্ভব, যদি ইউক্রেন ন্যাটো সদস্যপদের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করে, দেশটিকে নিরস্ত্রীকরণ করা হয় এবং বর্তমান ভূখণ্ড বাস্তবতাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়—যার মধ্যে ক্রিমিয়ার পাশাপাশি দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝিয়া অঞ্চলও রয়েছে। ২০২২ সালে এই চার অঞ্চলে রাশিয়ার পক্ষে গণভোট অনুষ্ঠিত হয় এবং সেগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করা হয়।

সূত্র: আরটি



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top