গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে ইসরায়েলজুড়ে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ
প্রকাশিত:
২৬ আগস্ট ২০২৫ ১৭:২২
আপডেট:
২৬ আগস্ট ২০২৫ ১৯:০৬

গাজায় যুদ্ধবিরতি ও ফিলিস্তিানি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হাতে আটক থাকা বাকি জিম্মিদের দ্রুত ফিরিয়ে আনার দাবিতে ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকাল থেকে দেশজুড়ে এই বিক্ষোভের আয়োজন করেছে ‘হোস্টেজেস অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিস ফোরাম’ নামক একটি গ্রুপ, যারা অনেকদিন ধরেই জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টিতে সরকারকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলে আসছে। বিক্ষোভে অংশ নেন জিম্মিদের পরিবার ও হাজার হাজার সাধারণ ইসরায়েলি।
বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েন। একই সঙ্গে তিনি যাতে হামাসের হাতে আটক থাকা জিম্মিদেরকে মুক্ত করতে ভূমিকা রাখেন।
ধারণা করা হচ্ছে, হামাস যাদেরকে জিম্মি করে নিয়ে গিয়েছিলো, তাদের মাঝে গাজায় এখনো ৫০ জিম্মি রয়েছেন। যারমধ্যে ২০ জন বেঁচে আছেন।
এদিকে ইসরায়েলের প্রধান প্রধান সড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ চলায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। দেশজুড়ে মহাসড়কগুলোতে এখন গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা যাচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
হামাসের কাছে জিম্মি ব্যক্তিদের ছবি নিয়ে বিক্ষোভ করছেন অনেকে
তেল আবিবের উত্তরে ইয়াকুম জংশনের কাছে কোস্টাল হাইওয়ে বা রুট টু-তে বিক্ষোভকারীরা সড়কের মাঝখানে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ায় ওই মহাসড়ক পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হাতে জিম্মি হওয়া মাতান জাঙ্গাউকারের মা আইনাভ জাঙ্গাউকার এক সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কড়া সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, ‘৬৯০ দিন ধরে সরকার কোনো সুস্পষ্ট লক্ষ্য ছাড়াই যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। আজ, এটা পরিষ্কার যে নেতানিয়াহু একটি জিনিসকেই ভয় পান। আর তা হলে জনগণের চাপ। আমরা এই যুদ্ধ আরও এক বছর আগেই শেষ করতে পারতাম এবং সকল জিম্মি ও সেনাদেরকে ফিরিতে আনতে পারতাম। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার স্বার্থে বারবার বেসামরিক মানুষদের বলি দেওয়ার পথ বেছে নিয়েছেন।’
ইসরায়েলজুড়ে এই প্রতিবাদটি এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি বিমান হামলা চলছে এবং ইসরায়েল সেখানে স্থল অভিযান চালানোরও প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সূত্র: বিবিসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: