বললেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী
‘বাংলাদেশ সীমান্তের পরিস্থিতি বদলে গেছে, ঘনিষ্ঠ নজরদারি চলছে’
প্রকাশিত:
২৬ আগস্ট ২০২৫ ২১:৪৭
আপডেট:
২৬ আগস্ট ২০২৫ ২৩:৪৪

বাংলাদেশ লাগোয়া ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় মেঘালয়ের সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি গত এক বছরে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড কে সাংমা। তিনি বলেছেন, রাজ্যের বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকায় নতুন নতুন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় ঘনিষ্ঠ নজরদারি চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার মেঘালয়ের স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কনরাড কে সাংমা এসব মন্তব্য করেছেন। মেঘালয়ে সন্ত্রাসবাদ সংশ্লিষ্ট উদ্বেগের বিষয়ে তিনি বলেন, গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী রাজ্যে বিভিন্ন ধরনের গোষ্ঠী নানা তৎপরতা পরিচালনা করছে। তবে তারা পুনর্গঠিত হচ্ছে কি না, সেই বিষয়ে আগাম সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাবে না।
তিনি বলেন, গত এক বছরে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। যার ফলে সীমান্ত এলাকায় নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
সাংমা বলেন, রাজ্য সরকার প্রত্যেক দিন প্রচুর গোয়েন্দা তথ্য পায়। এসব তথ্য যাচাই-বাছাইয়ে শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকার কিছু গোষ্ঠী অতীতে সক্রিয় ছিল। এসব গোষ্ঠীর কিছু ডাকাতি-লুটপাটের মতো কাজ করে; তারা সন্ত্রাসী সংগঠন নয়।
মেঘালয়ের এই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমাদের মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশের সীমান্তের পরিস্থিতি গত বছরের মতো নেই। তাই সেখানে বিভিন্ন কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে; যা সামগ্রিক পরিস্থিতিকে পরিবর্তন করছে। আমি বেশি বিস্তারিত বলছি না। কারণ এটা জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়। কিন্তু এটুকু বলতে পারি, সীমান্তে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম উদ্ভূত হচ্ছে।’’
তিনি বলেন, ‘‘বর্তমানে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো শতভাগ পুনর্গঠিত হচ্ছে বলে বলা যাবে না। এটা আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি না। তবে আমরা যে তথ্য পাচ্ছি, তা যাচাই করছি। প্রায়ই দেখা যায়, দুটি-তিনটি গোষ্ঠী ছিল, তারা মূলত দস্যু। তাদের অধ্যায়ের অবসান ঘটেছে। এই ধরনের কার্যক্রমের তথ্য মাঝে মাঝে আমাদের কাছে আসে, কিন্তু এটিকে পুনর্গঠন বলা ঠিক নয়।’’
সাংমা বলেন, সরকার সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং রাজ্যের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতির কারণে সীমান্ত পরিস্থিতি অধিক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আমাদের সীমান্তে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এটাই বর্তমান পরিস্থিতি।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: