ইমরান খান ও স্ত্রী বুশরার ১৭ বছরের কারাদণ্ড
প্রকাশিত:
২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৬:০৭
আপডেট:
২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:৫২
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে তোশাখানার ২ মামলায় শনিবার (২০ ডিসেম্বর) অ্যাডিয়ালা জেলের বিশেষ আদালত ১৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
আদালতের বিশেষ বিচারক সেন্ট্রাল শারুখ অর্জুমান্দ এই মামলার শুনানি পরিচালনা করেন।
বুশরা বিবির সাজা— সেকশন ৪০৯ অনুযায়ী ১০ বছর, সেকশন ৫, ২ ও ৪৭ অনুযায়ী আরও ৭ বছর।
ইমরান খানের সাজা—সেকশন ৪০৯ অনুযায়ী ১০ বছর, সেকশন ৫, ২ ও ৪৭ অনুযায়ী আরও ৭ বছর।
একই সঙ্গে উভয়ের প্রত্যেককে ১৬.৪ মিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মোট সাজা উভয়ের জন্যই ১৭ বছর করে।
এই মামলা ইমরান খানের ২০১৮–২০২২ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় সৌদি আরব থেকে পাওয়া উপহার সংক্রান্ত। ২০১৮ সালের তোশাখানা নিয়ম অনুযায়ী এসব উপহার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল।
আদালতে অভিযোগ করা হয়েছে, ইমরান খান ও বুশরা বিবি উপহারগুলো সঠিকভাবে নিবন্ধন না করে, সহকারী ডেপুটি মাল্টি-সেক্রেটারির চিঠি ব্যবহার করে অবৈধভাবে নিজের দখলে রেখেছেন।
উপহারের মূল্য প্রায় ৩৮ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ৭১.৫ মিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি)। জাতীয় রাজস্বে ক্ষতি: উপহারগুলোর কম মূল্যায়নের ফলে ৩৫.২৮ মিলিয়ন রুপি ক্ষতি হয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২১ সালের মে মাসে সৌদি আরবের এক সফরে বুশরা বিবিকে উপহার হিসাবে দেওয়া একটি জুয়েলারি সেট—যার মধ্যে ছিল আংটি, ব্রেসলেট, নেকলেস এবং ইয়াররিং—এই মামলার অংশ।
জাতীয় হিসাবরক্ষণ ব্যুরো (এনএবিএ) আগস্ট ২০২২-এ ৩৭ দিনের তদন্তের পর এই মামলা দায়ের করে।
এ দম্পতিকে ডিসেম্বর ২০২৪-এ আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করা হয়। ইসলামাবাদ আদালত তাদের বেকসুর খালাসের আবেদন খারিজ করেছে।
এটি প্রথম তোশাখানা মামলা থেকে আলাদা। প্রথম মামলায় দম্পতিকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড এবং মোট ১.৫৭ বিলিয়ন রুপি জরিমানা করা হয়েছিল। তবে সেই সাজা পরে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট এপ্রিল ২০২৪-এ স্থগিত করে।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: