ঘুমানোর ধরনে বাড়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি
প্রকাশিত:
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:২৭
আপডেট:
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৪:৩১

ঘুমের ধরন ও ভঙ্গি হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যে বড় প্রভাব ফেলে থাকে। এমনকি ঘুমানোর ভঙ্গি সঠিক না হলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। আবার কিছু ভঙ্গি হার্টকে অনেকটা সুরক্ষা দিতেও পারে।
হার্টের রোগীর ক্ষেত্রে সঠিক ঘুম জীবন বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ। আর সঠিক ভঙ্গিতে ঘুমানো মানেই হৃৎপিণ্ডকে অযাচিত চাপ থেকে বাঁচানো। গভীর ও পর্যাপ্ত ঘুম শরীর এবং মনের ক্লান্তি কাটিয়ে তোলে।
এটি হরমোন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে থাকে, আবার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা , মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে তোলে। মূলত ঘুম হৃৎপিণ্ডের প্রদাহ কমাতে এবং স্নায়ুতন্ত্রের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে অনিদ্রা বা পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব হৃদরোগের ঝুঁকি দ্বিগুণ করে তোলে।
যদি চিৎ হয়ে পিঠের দিকে শুয়ে থাকেন, তবে হৃদরোগীর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়। কারণ এটি স্লিপ অ্যাপনিয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। আর স্লিপ অ্যাপনিয়ায় শ্বাসপ্রশ্বাস ব্যাহত হয়, সেই সঙ্গে শরীরে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছায় না। ফলে হৃদরোগের অবস্থা আরও জটিল হতে পারে।
এ ছাড়া পেটে ভর দিয়ে শোওয়া একেবারেই ঠিক নয়। এতে শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়, শরীরে রক্ত সঞ্চালনে বাধা সৃষ্টি হয় এবং হৃৎপিণ্ডের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, হৃদরোগের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ ভঙ্গি হলো ডানদিকে শোওয়া। বাঁ দিকে শোওয়া কিছু ক্ষেত্রে উপকারী হলেও হার্টের রোগীর জন্য সবসময় নিরাপদ নয়। পিঠে কিংবা পেটে ভর দিয়ে শোওয়াও কখনোই ঠিক নয়। একে এড়িয়ে চলাই সঠিক কাজ হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ডান দিকে শোওয়া হৃদরোগীর জন্য সবচেয়ে নিরাপদ। এতে হৃৎপিণ্ডের অবস্থান স্থিতিশীল থাকে। সে কারণে ইসিজিতে পরিবর্তন খুব একটা দেখা যায় না। আর হার্ট ফেইলিওর রোগীর জন্য এটি বিশেষভাবে উপকারী। এ ছাড়া যাদের শরীরে আইসিডি বসানো রয়েছে, তাদের জন্য ডান দিকে ঘুমানো অনেক বেশি নিরাপদ।
আর বাঁ দিকে শোওয়া অ্যাসিড রিফ্লাক্স কমিয়ে দেয়। ফলে হৃৎপিণ্ডের ওপর চাপ কম হয়।
আর বাঁ দিকে শোওয়ার সময় হৃৎপিণ্ডের অবস্থান কিছুটা সরে যেতে পারে এবং ইসিজি পরীক্ষার ফলেও পরিবর্তন দেখা যায়। তাই যাদের আগে থেকে গুরুতর হৃদরোগ রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এভাবে সবসময় নিরাপদ না-ও হতে পারে।
এখানে একটি আলোচনার বিষয় যে, প্রত্যেক রোগীর শরীরের অবস্থা ভিন্ন হয়ে থাকে। তাই সঠিক ঘুমের ভঙ্গি বেছে নেওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া উচিত।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: