মঙ্গলবার, ২রা জুলাই ২০২৪, ১৮ই আষাঢ় ১৪৩১


না বুঝে বিএনপি নেতারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন: হাছান মাহমুদ


প্রকাশিত:
২৯ জুন ২০২৪ ২০:১০

আপডেট:
২ জুলাই ২০২৪ ১৪:২৮

ছবি- সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে কিছু সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। আর কিছু সমঝোতা স্মারক নবায়ন করা হয়েছে। কোনো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি। অথচ বিএনপি নেতারা গলা ফাটিয়ে বলছেন, চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আবার কোনো কোনো পীরও লাফাচ্ছেন। তারা চুক্তি আর সমঝোতা স্মারকও বোঝেন না।

শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭৫ বছর উপলক্ষে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ এই সেমিনারের আয়োজন করে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের সাথে সমস্ত সমঝোতা স্মারক দেশের স্বার্থেই করা হয়েছে। আমরা কানেক্টিভিটি বাড়াতে চাচ্ছি, কানেক্টিভিটি বাড়ানোর জন্যই ইতোমধ্যে ঢাকা-কলকাতা, খুলনা-কলকাতা, দিনাজপুর-শিলিগুড়ি ট্রেন চালু হয়েছে, আখাউড়া দিয়ে ট্রেন চালু হওয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আমরা ভারতের বুকের উপর দিয়ে নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি স্বাক্ষর করেছি, ভুটানের সাথেও আলাপ-আলোচনা চলছে। সেই কানেক্টিভিটিকে আমরা আরও বাড়াতে চাই। সেই কানেক্টিভিটির সাথে আমরা নেপাল-ভুটানকেও যুক্ত করতে চাই। এই অঞ্চলের মানুষের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির স্বার্থেই আমরা কানেক্টিভিটি বাড়াতে চাই। কিন্তু বিএনপি সেটি নিয়ে বিভ্রান্তি চড়াচ্ছে।’

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব নাকি ঢাকা কলেজে পড়াতেন, বিএনপির আরও কিছু নেতাসহ ড. মঈন খানও শিক্ষিত। শিক্ষিত নেতারা কেন অশিক্ষিতের মতো কথা বলছেন সেটি আমার বোধগম্য নয়। আসলে যাদের নেত্রী বলেছিলেন, সাবমেরিন ক্যাবলের সাথে বাংলাদেশ যুক্ত হলে দেশের সমস্ত সিক্রেসি আউট হয়ে যাবে। তারা কানেক্টিভিটির মর্ম বোঝার কথা নয়, যেমন নেত্রী তেমন তার সভাসদ, সেজন্যই তারা এসমস্ত আবল-তাবল কথা বলছেন, আর বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন।’

চরমোনাই পীরে দিকে ইঙ্গিত করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কোনো কোনো পীর সাহেবও দেখছি লাফাচ্ছেন। গাজায় যেভাবে মানুষ হত্যা করা হয়েছে, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, প্রায় ৩৮ হাজার নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে মিছিল নিয়ে লাফাতে দেখি না। বিএনপি আর জামায়াত এনিয়ে একটি শব্দও বলেনি।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের হাত দিয়েই বাংলাদেশের সমস্ত অর্জন অর্জিত হয়েছে। ৭৫ বছরের আওয়ামী লীগের পথচলা সবসময় কন্টকাকীর্ণ ছিল। আওয়ামী লীগ সবসময় অগণতান্ত্রিক ও অপশক্তির চক্ষুশূল ছিল। পাকিস্তান আমলে আইয়ুব খান মার্শাল ল দেওয়ার পর বঙ্গবন্ধুসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়। সত্তরের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মী জীবন দিয়েছে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার পর জিয়াউর রহমান ও এরশাদ দুই সামরিক স্বৈরশাসকই আওয়ামী লীগের ওপর অত্যাচার নির্যাতন চালিয়েছে। ২০০৭ সালে ভিন্ন খোলসে প্রকৃতপক্ষে সামরিক শাসন চলেছে। সমাজে বুদ্ধিজীবী পরিচয় দেওয়া কিছু ব্যক্তিকে ভাড়া করে সামনে দিয়ে প্রকৃতপক্ষে সামরিক শাসনই চালু করেছিল তখন।’

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় সেমিনারে বক্তব্য দেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক মো. মঈনুদ্দীন, আবুল কালাম আজাদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক দেবাশীষ পালিত, সদস্য ইফতেখার হোসেন বাবুল, বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার প্রমুখ।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top