মাওলানা আমীরুল ইসলামসহ সকল আলেম উলামাদের কারামুক্তির দাবি
প্রকাশিত:
১০ মার্চ ২০২৫ ১৮:০৪
আপডেট:
১১ মার্চ ২০২৫ ২৩:১৪
ফ্যাসিস্ট সরকার শেখ হাসিনার শাসনামলে মিথ্যা মামলা ও হয়রানির প্রতিবাদে - বৈষম্যহীন কারামুক্তি আন্দোলন, সোমবার সকাল ১১ টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
মাওলানা আমীরুল ইসলামের ছোট ছেলে মুজাহিদুল ইসলাম বলেন - বাংলাদেশের জনগণ ভেবেছিল বর্তমান বৈষম্য বিরোধী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সকল ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করে দেশের শান্তি ফিরিয়ে আনবে। কিন্তু আমরা বৈষম্যহীন কারা মুক্তি আন্দোলনের ভুক্তভোগীরা তা দেখছি না। আজ থেকে ২৫ বছর আগে অর্থাৎ ২০০০ সালে খুনি হাসিনা তার পরিবারের আজীবন নিরাপত্তা বিল পাস করার জন্য কোটালীপাড়ায় ৭৬ কেজি বোমা বিস্ফোরণ মামলার নাটক সাজায়। আরো অনেক জঙ্গি নাটক সাজিয়ে গণহারে দেশের বড় বড় আলেম ও ইসলামী চিন্তাবিদদের কে আসামি করে জেলখানায় পাঠায়। তাদেরকে বন্দী করার কারণ, তারা ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলে, জুলুমের বিরুদ্ধে কথা বলে। এসব বোমার নাটক দেখিয়ে এবং নানা রকম মিথ্যা নাটক দেখিয়ে নিজের পরিবারের আজীবন নিরাপত্তা বিল পাস করবে বিদেশি প্রভুদের খুশি করবে এটাই ছিল তার মূল উদ্দেশ্য। অনেক ক্ষেত্রে সে সফলও হয়েছে।
তিনি আরো বলেন - আমার আব্বা ৭০ বছর বয়সী একজন আলেম। তিনি একজন পীর, ইসলামিক লেখক, সাহিত্যিক ও গবেষক। আঁধার রাতের বন্দিনীসহ ২৫/৩০ টি ইসলামিক বই তিনি লিখেছেন। লেখালেখি, তালিম, তাজকিয়া নিয়েই তিনি ব্যস্ত থাকতেন। খুনি হাসিনা কোটালীপাড়া ৭৬ কেজি বোমার নাটক সাজিয়ে তার নামে মামলা করে। ৭৬ কেজি বোমার ঘটনা সম্পূর্ণ একটি সাজানো নাটক। এ বোমা উদ্ধারের নামে কল্পকাহিনী তৈরি করে ৩ টি মামলা দায়ের করেছে। যে বোমা না বিস্ফোরণ হলো, না সেখানে কেউ নিহত হলো, না কেউ আহত হলো। কিন্তু এতে আমার আব্বু সহ দেশবরেণ্য বহু আলেমকে আসামি করে বন্দী করে রেখেছে।
তিনি বলেন- আমার আব্বা মাওলানা আমীরুল ইসলাম সহ আরো অনেক আলেম দীর্ঘ ২৫ বৎসর যাবৎ জুলুমের শিকার, তাদের নির্যাতনের ফিরিস্তি অনেক দীর্ঘ। তাই আমরা বর্তমান বৈষম্য বিরোধী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে অনুরোধ করছি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে মাওলানা আমীরুল ইসলাম সহ সকল নিরপরাধ কারাবন্দি মজলুম আলেম পরিবারের প্রতি সুবিচারের ব্যবস্থা করা হোক। ৭৬ কেজি বোমা মামলা সহ যতগুলো মিথ্যা মামলার নাটক আছে সবগুলো প্রত্যাহার করে সকল আলেম উলামাকে মুক্তি দিয়ে, তাদের পরিবারের দীর্ঘদিনের চাপা কষ্টের হাত থেকে রক্ষা করা হোক। তারা বৈষম্য বিরোধী অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সকল বৈষম্য দূর করে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সুবিচারের প্রত্যাশা করেন।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মুফতি ফোখরুল ইসলাম, ড. নাজিম, মাওলানা আমীরুল ইসলামের বড় ছেলে মো: আনোয়ার ইসলাম, মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন, মাওলানা আমিরুল ইসলামের স্ত্রী মোসা: ফাতেমা, জাহেদা আক্তার, মাহফুজা ইসলাম, তামান্না ওয়াহিদ, কারাবন্দি মাওলানা রফিকুল ইসলামের ছেলে মো: আহমেদ উল্লাহ প্রমূখ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: