সাংবাদিকদের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
ইউনূস-মোদির মধ্যে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে
প্রকাশিত:
৮ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:০৩
আপডেট:
১৭ এপ্রিল ২০২৫ ১০:২৭

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার যেটা মনে হয়— একটি ইতিবাচক পরিবেশে সাক্ষাৎটা হয়েছে এবং দুইপক্ষ সম্পর্ক ভালো রাখার এবং করার ওপর জোর দিয়েছে।’
উত্তেজনাকর বক্তব্য পরিহার করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা নিজেরাও এই পয়েন্টে একমত। এটি আসলে একতরফাভাবে হচ্ছে– সেরকম নয়। হয়তো আমাদের কেউ কেউ বলছেন– যেটি তাদের না বলাই ভালো। একই কাজ ভারত থেকেও হয়ে থাকে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রায় প্রতিদিনই শক্ত শক্ত কথাবার্তা শুনতে পাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের কেউ কেউ এটা করেছেন। সম্পর্ক উন্নয়ন করতে গেলে বরং আপত্তিকর কথাবার্তা কোনও পক্ষ থেকে না বলাই ভালো। আমরা বিষয়টি সেই দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছি।’
গণতন্ত্র নিয়ে ভারতের তাগিদ
গণতন্ত্র নিয়ে ভারতের তাগিদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে কথাবার্তা তারা সবসময় বলে। এই সরকার তো নিজের থেকে বলেছে যে যথাশীঘ্র সম্ভব তাদের দায়িত্ব শেষ করে, যেসব দায়িত্ব এই সরকারের ওপর আছে সেগুলো শেষ করে, যথাশীঘ্র সম্ভব নির্বাচন দিয়ে রাজনীতিবিদদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে– এটি এই সরকারের অঙ্গীকার।’
নির্বাচনের কথা প্রায়শই উচ্চারিত হয়। এমন কী যেসব দেশে গণতন্ত্র নেই সেইসব দেশও জানতে চায়। একধরনের প্রেডিক্টিবিলিটি তারা চায়। এখানে বিনিয়োগের প্রশ্ন আছে এবং তারা জানতে চাইতেই পারেন কি হবে বা কখন কোন সরকার আসবে বলে তিনি জানান।
শেখ হাসিনার ফেরত আনা
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত থেকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো নিয়ে একাধিকবার জানানো হয়েছে দিল্লিকে।
শেখ হাসিনাকে ফেরত আনা প্রসঙ্গে কী আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছে। কিন্তু এটি নিয়ে চূড়ান্ত কিছু হয়নি। আমি এটুকু বলবো।’
ভারতের ভিসা
ভারতের ভিসা প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ’এটি সম্পূর্ণ তাদের সার্বভৌম অধিকার। তারা যদি না দেয়, তবে আপনি কিছুই করতে পারবেন না।’
বাংলাদেশও ভিসা বন্ধ করে দিয়েছিল ত্রিপুরাতে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জনকেন্দ্রিক সম্পর্কের বিষয়টি একেকজন একেকভাবে নিতে পারেন। নরেন্দ্র মোদি স্পষ্টভাবে বলেছেন যে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক দেশের সঙ্গে, মানুষের সঙ্গে এবং কোনও দলের সঙ্গে নয়। আমি এটিকে ইতিবাচক দিক হিসাবে দেখতে চাই।’
ভিসা বিষয়টি তাদের নিজস্ব। এটি যদি না হয়, তবে যেটি হবে কোথাও শূন্যতা থাকে না। যদি ভিসার অভাবে সেখানে লোকজন যেতে না পারে তবে অন্য কোথাও যাবে এবং যাচ্ছেও। আমরা সেটাও সহায়তা করবো যে সমস্যা যাতে না হয়। বাংলাদেশের মানুষ যে যে কারণে ভারতে যেতো, সেটি যদি অন্য কোথাও সমাধান করা যায়, আমরা সেটিও চেষ্টা করবো। আমরা চাইবো, ভারত ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করুক এবং এটিতে তাদেরও স্বার্থ উদ্ধার হবে এবং আমাদেরও স্বার্থ উদ্ধার হবে। আমরা জানি যে কোলকাতার অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে তিনি জানান।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: