ভোটকেন্দ্র স্থাপনে ডিসি-এসপির কমিটি বাদ: ইসি
প্রকাশিত:
২১ মে ২০২৫ ১৯:২৬
আপডেট:
২২ মে ২০২৫ ০২:৩৫

প্রস্তাবিত আচরণবিধি অনুযায়ী ইসির অধীনে প্রচারণা, দলের কাছে অঙ্গীকার নামা রাখা হচ্ছে ও ভোটকেন্দ্র স্থাপনে ডিসি-এসপিদের নেতৃত্বে কমিটি বাদ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বুধবার (২১ মে) ইসির পঞ্চম কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হয়। সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় সংসদ নির্বাচনের খসড়া আচরণবিধি ও ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালার অনুমোদন করে ইসি। সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
ইসির সংশ্লিষ্টরা জানান, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২০২৫ সালের দল ও প্রার্থীদের জন্য আচরণবিধি এবং ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালা অনুমোদন করেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন বলছে, আচরণ বিধিমালার সঙ্গে সংস্কার কার্যক্রমের কিছু জড়িত। সেটা হলেই তা চূড়ান্ত করা হবে। প্রস্তাবিত আচরণবিধিতে ভোটে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের জন্য ইসির তত্ত্বাবধানে প্রচারণা, আচরণবিধি মেনে চলার বিষয়ে দল ও প্রার্থীর প্রত্যয়নপত্রসহ কয়েকটি নতুন বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালার খসড়া অনুযায়ী ডিসি-এসপিকে বাদ দিয়ে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের রাখা হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানান, রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০২৫; সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন এবং ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০২৫ এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন এবং ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০২৫ এর নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এ সভায়।
তিনি বলেন, বিধিমালা ও নীতিমালা বিশদভাবে আলোচনা হয়েছে। খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কমিটি এ নিয়ে কাজ করে কমিশনের কাছে উপস্থাপন করবে। তবে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ও অপরাপর সংশোধনীর বিষয় আছে। ততদিন পর্যন্ত হয়ত আমাদের অপেক্ষা করা লাগতে পারে এই জিনিসগুলোর চূড়ান্ত করার জন্য।
এ নির্বাচন কমিশনার জানান, ইসির তত্ত্বাবধানে নির্বাচনী প্রচারণা, সোশাল মিডিয়া, দল ও প্রার্থীর প্রত্যয়নসহ নানা ধরনের নতুন বিষয় যুক্ত রয়েছে প্রস্তাবিত আচরণবিধিতে।
সভার আলোচনা নিয়ে ব্রিফিংয়ে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, উল্লেখযোগ্য সংশোধনের মধ্যে- জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালায় যে কমিটি ছিল আমরা তা বিলুপ্ত করেছি। এটা কমিশনের অধীনে আনা হয়েছে। দ্বিতীয়ত ইভিএম সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো আমরা বাতিল করেছি। যেহেতু ইভিএম নেই।
ইসি জানায়, বিদ্যমান ভোটকেন্দ্র নীতিমালায় নির্বাচন কমিশন ভোটকেন্দ্র নির্ধারণের ক্ষেত্রে ডিসি ও এসপিদের সমন্বয়ে একটি জেলা কমিটি গঠন করে। এ কমিটির মাধ্যমেই ভোটকেন্দ্র স্থান নির্ধারণ ও পুনর্বিন্যাসের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতো। তবে এই কমিটিগুলোর নিরপেক্ষতা ও রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। নতুন নীতিমালায় সেই কাঠামো বাতিল করা হচ্ছে।
ইসির অনুমোদনের পর গেজেট প্রকাশের অপেক্ষায় থাকবে। তবে সংস্কার সুপারিশ চূড়ান্ত হলেই এ সংক্রান্ত গেজেট করা হতে পারে বলে জানান ইসি কর্মকর্তারা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: