চট্টগ্রাম ইপিজেডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
ফায়ার সার্ভিসের অসহায় আত্মসমর্পণ, আকাশের দিকে তাকিয়ে সবাই
প্রকাশিত:
১৬ অক্টোবর ২০২৫ ২১:৩১
আপডেট:
১৬ অক্টোবর ২০২৫ ২৩:৩৬

চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড) এলাকার একটি কারখানায় লাগা আগুন এখন পর্যন্তও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ইতোমধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রনে যোগ দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে আগুন লাগার পর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত তা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। সন্ধ্যার পর আগুন আরও ভয়াবহ রূপ নেয়। এখন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় অসহায়– তারা শুধু আকাশের দিকে তাকিয়ে, যদি বৃষ্টি হয়, তাহলে হয়ত আগুন কিছুটা থামবে।
ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগ দিয়েছে নৌবাহিনীর ৪টি ইউনিট। পাশাপাশি সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা আগুন নিয়ন্ত্রণের কার্যক্রম তদারকি করছেন। কিন্তু প্রচণ্ড তাপ আর ঘন ধোঁয়ায় আগুন নেভানোর চেষ্টা বারবার ব্যর্থ হচ্ছে।
সরেজমিন রাত সোয়া ৮টার দিকে পুরো ভবনেই আগুন ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। ভবনের আশপাশের কয়েকশ মিটার দূর থেকেও আগুনের কড়া তাপ অনুভূত হচ্ছে। আগুনে দিশেহারা ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ক্রমেই পিছু হটতে বাধ্য হয়েছেন। সময় যত গড়াচ্ছে, আগুনের লেলিহান শিখা তত উঁচু হচ্ছে। আশপাশের এলাকা তাপ আর ধোঁয়ায় অন্ধকারে ঢেকে গেছে। আগুনের সামনে অসহায় ফায়ার সার্ভিস, আর চারপাশের মানুষ শুধু এক আশায় আকাশের দিকে তাকিয়ে—যদি একটু বৃষ্টি নামে।
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানান, ভবনের পাঁচ, ছয় ও সাত তলায় প্রথমে আগুন লাগে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে নিচের তলাগুলোতেও। সব ইউনিট একযোগে কাজ করলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের বন্দর জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. জাহাঙ্গীর বলেন, আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি যে ভবন ধসে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ভেতরে কেউ আটকা পড়ার তথ্য পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী মুজিবুল হক বলেন, রিজার্ভ ট্যাংক থেকে পানি এনে ছিটাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস ও নৌবাহিনী। কিন্তু আগুন যেন আরও ছড়িয়ে পড়ছে। এখন সবাই শুধু আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে—যদি একটু বৃষ্টি নামে।
অগ্নিকাণ্ডের কবলে পড়া কারখানায় হাসপাতালে ব্যবহার করার বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি হতো। আগুনের কারণ সম্পর্কে কিছুই এখনো জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: