সন্তানের দায়-দায়িত্ব পিতামাতাকে নিতে হবে: আইজিপি
 প্রকাশিত: 
 ১১ জানুয়ারী ২০২১ ২১:৩০
 আপডেট:
 ৪ নভেম্বর ২০২৫ ১৩:২৭
                                রাজধানীর কলাবাগানে স্কুলছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনা মতো ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য অভিভাবকদের আরও দায়িত্বশীল হওয়া দরকার বলে মনে করছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ।
তিনি বলেন, পরিবারকে জানতে হবে ছেলে বা মেয়ে কোথায় কার সাথে মিশে, কী করে, কখন কোথায় যায়। এটা প্যারেন্টাল কন্ট্রোল। সন্তান জন্ম দিলে দায়-দায়িত্ব পিতামাতাকে নিতে হবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘র্যাব সেবা সপ্তাহ’- এ দরিদ্র, প্রতিবন্ধী ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব বক্তব্য দেন।
বেনজীর আহমেদ বলেন, “১৮ বছরের নিচে বয়সের সবাই শিশু। মানবাধিকার কর্মীরা এনজিওকর্মীরা অনেক হৈ চৈ করে অনেক আইন কিন্তু পরিবর্তন সংশোধন করেছেন। কিন্তু কলাবাগানে যে ঘটনাটি ঘটেছে তা কিন্তু পূর্ণাঙ্গ ক্রাইম। এখানে ধর্ষণ ঘটানো হয়েছে, মৃত্যু ঘটানো হয়েছে। অথচ আমাদের দেশের আইন অনুযায়ী উভয়ই কিন্তু শিশু।
“অথচ আমরা এই আইনগুলো করেছি। অবশ্যই আমাদের আধুনিকায়ন দরকার, আইজিপি হিসেবে আমি দ্বিমত পোষণ করি না। তবে অত্যাধুনিক আইন করতে গিয়ে আমরা দেশের মধ্যে কোনো সমস্যা তৈরি করতেছি কি না সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।”
গত ৭ জানুয়ারি রাজধানীর একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ও লেভেলের এই ছাত্রীকে অচেতন অবস্থায় ধানমণ্ডির আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে যান তার ছেলে বন্ধু ইফতেখার ফারদিন দিহান। তবে তার আগেই মেয়েটির মৃত্যু হয়।
পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, “তার শরীরের কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া না গেলেও যৌনাঙ্গ ও পায়ুপথে ক্ষত চিহ্ন পাওয়া গেছে। বিকৃত যৌনাচারের কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।”
১৭ বছরের মেয়েটিকে ‘ধর্ষণের পর হত্যার’ অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দিহান এরইমধ্যে আদালতে ‘দোষ স্বীকার’ করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
জিজ্ঞাসাবাদে দিহানের দেওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার সাজ্জাদুর রহমান বলেছিলেন, দুইজনের সম্মতিতে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়।
তবে মেয়েটির বাবা মামলায় অভিযোগ করেছেন, তার মেয়েকে কলাবাগান ডলফিন গলির বাসায় ডেকে নিয়ে ‘ধর্ষণ করেন’ দিহান। প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে অচেতন হয়ে পড়লে বিষয়টি ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্য আসামি নিজেই তাকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে যান।

                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: