শিশুর স্বাভাবিক বেড়ে ওঠায় আমাদের ভূমিকা কতখানি?
প্রকাশিত:
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:৪৮
আপডেট:
১২ মার্চ ২০২৫ ১০:৩৩

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আজকাল অনেককিছুই ভাইরাল হয়। বেশিরভাগ ভাইরাল বিষয় নিয়েই আলোচনা-সমালোচনা হয়, তবে কয়েকদিন আগে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে নিখোঁজ স্কুলশিক্ষার্থী আরাবি ইসলাম সুবাকে পাওয়া যাচ্ছে না। গণমাধ্যমে প্রতিবেদনের আগে তার নিখোঁজ হওয়ার খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছিল।
মোহাম্মদপুর থেকে হারিয়ে যাওয়া ফুটফুটে মেয়েটি আরাবি ইসলাম সুবাকে খুঁজে পেতে তা অনেকেই শেয়ার করেছিলেন। যেহেতু এখন দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নাজুক, তাই মানুষের ভেতরে উৎকণ্ঠাও কাজ করছিল বেশি। তার মাঝে মেয়েটির মা ক্যান্সার আক্রান্ত, অসহায় পিতার একান্ত আকুতি মেয়েটিকে ফিরে পাওয়ার, সেই আবেগ মানুষকেও ছুঁয়ে গিয়েছিল।
তবে এই ঘটনার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ, সুবার নিখোঁজকাণ্ডে ভাইরাল হওয়া ফুটেজের পর ৪ ফেব্রুয়ারিতে খোঁজ মিলল সে নওগাঁতে, এক বন্ধুর সাথে অবস্থান করছিল। এই খবরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেন আরেকবার হইচই শুরু হলো।
এগারো বছরের শিশু কী করে একটি ছেলের সাথে পালিয়ে যেতে পারে? সব দোষ মেয়েটির বাবা-মায়ের, আর মেয়েটির। এর মাঝে অনেকেই খুঁজে পেলেন না সমাজ, সংসার ও রাষ্ট্রের কোনো দায়!
জাজমেন্টাল দুনিয়ায় হুট করে মানুষের ভুল ধরতে আমরা সদা প্রস্তুত, কিন্তু এর পেছনের কারণ কী, কেমন করে হলো তা আমরা ভাবছি না। এই ঘটনা আমাদের সাথেও ঘটতে পারতো। সেক্ষেত্রে আমরা কী করতাম, এসব ভাবনা আমাদের মাথায় আসে না।
একটু পেছনে যায় ঘটনাটির। সুবা বরিশাল থেকে ঢাকায় এসেছিল দুইমাস আগে। ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত মায়ের চিকিৎসা ছিল ঢাকায় আসার মূল কারণ। বরিশালের একটি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে সে পড়তো, সেখানে কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কারণে কিছু বা কোনো এক বন্ধুর সাথে তার পরিচয় হয়।
এখনকার যে সময়, সেই সময়ে একটি শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকেই মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়ে। তাহলে তার বয়স যদি ১১ বছর হয়, কমপক্ষে ৭/৮ বছর ধরে মোবাইলের সাথে তার পরিচয়, তা ধরে নেওয়াই যায়। সেই হিসাবে আপনার-আমার চোখে শিশু হলেও যোগাযোগমাধ্যমে সে আসলে ৮ বছর বা আরও বেশি সময় ধরে অভিজ্ঞ একজন সাবস্ক্রাইবার।
আমরা যে সময়ে বেড়ে উঠেছি সেই সময় এখনকার শিশু বা কিশোরদের বেড়ে ওঠার সময়টা একদমই ভিন্ন। তারা জন্মের পরপরই মোবাইল ফোনকে নিত্যসঙ্গী হিসেবে ভাবে। শিশুরা খাবার খায় না মোবাইল ছাড়া, পড়ালেখা করে না মোবাইল ছাড়া, সেখানে এককভাবে তাদের ওপর দোষ চাপিয়ে আমরা আসলে নিজেদের দায়-দায়িত্ব তাদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছি।
এবার বলি, কেন তাদের এই আসক্তি তৈরি হচ্ছে—
এক, আজকাল বাবা-মায়েরা নিজেরাই যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যস্ত রিলস দেখা, অনলাইন শপিং, ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলা, নিউজ পড়া, খেলা দেখা, বাসার বিল পরিশোধ, অনলাইন ব্যাংকিং, গেমস খেলা থেকে শুরু করে অনেক কিছুই এখন মোবাইলে। ফলে, বাবা-মায়ের হাতে শিশুরা যখন সারাক্ষণ মোবাইল দেখেছে, তখন যন্ত্রটির প্রতি কৌতূহলী হওয়া কি শিশুর অপরাধ?
যেখানে একটু আঙুল লাগলেই সারাবিশ্ব উন্মুক্ত হয়ে যায় তার চোখের সামনে, ছোট্ট বিস্ময়ভরা দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা কি তার অপরাধ? আমরা আমাদের বাবা-মাকে দেখেছি বাসায় কাজ করতে, অফিস করতে, পড়ালেখা করতে, পারস্পরিক সুখ-দুঃখের আলাপ করতে, ঝগড়া হলেও আবার মিলেমিশে যেতে, গ্রাম থেকে মানুষজন এলে তাদের আদর-আপ্যায়ন করতে, বড়দের শ্রদ্ধা করতে, ছোটদের আদর করতে, মানবিক সম্পর্কগুলো এখন শিশুরা কোথায় আর কার কাছে দেখবে?
এখন মানুষ বিরক্ত হয় বাসায় অতিথি এলে, বিশেষ করে গ্রাম থেকে এলে তো কথায় নেই। অভিভাবকদের কারও সাথে কারও কথা বলার সময় নেই, সবার চোখ মোবাইলে। বড়দের এই পারিবারিক চালচিত্র ছোট ছোট শিশুদের মনে কী প্রভাব পড়ছে, কেউ কি ভেবে দেখেছেন?
শিশুরা নিজেরা চার দেয়ালের ঘরে বড় হচ্ছে শরীরে আর বয়সে, মনের দিক থেকে কি সে আসলে বড় হতে পারছে? মন বড় করার মতো, আকাশে উড়াল দিতে পাড়ার মতো কোনো গল্প কি আমরা তাদের শুনিয়েছি? তারা সময় চাইলে আমরা তাদের সময় দেই না, গল্প শুনতে চাইলে মোবাইল ধরিয়ে দেই, খেতে না চাইলে বেবি সার্ক-এর গান ছেড়ে দেই, ডিজিটাল এই দুনিয়ায় আপনি আমি তাকে ডিজিটাল মানুষ বানিয়ে ফেলছি, আবার চাইছি, সে মানবিক হোক?
কেন সুবা ক্যান্সার আক্রান্ত মায়ের সেবা না করে এক ছেলের সাথে পালিয়ে গেল, তার অনুসন্ধানী আর চমকদার তথ্য দিয়ে মেয়েটিকে ভাইরাল করছি, কিন্তু একবারও ভাবছি না, এর দায় আসলে কোথায়? আরেকজনের শিশু বা কিশোর যে ভুলপথে পা বাড়াচ্ছে তা নয়, আমাদের ঘরের শিশু বা কিশোরও একইপথে হাঁটছে। সবচেয়ে অবাক করার মতো বিষয় হলো, আমরা অন্য শিশুদের ভুল নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করছি। কারণ, আমরা অন্যের দোষ ধরতেই বেশি আগ্রহী। আমরা সবাই আসলে জাজমেন্টাল।
দুই, পরিবার থেকে বের হয়ে এবার সমাজের আলাপটাও খুব জরুরি। সমাজ আমাদের শিশুদের কী দিচ্ছে, যা শিশুদের মনস্তাত্ত্বিক বিকাশে সহায়তা করবে? আজকালের বাচ্চাদের আমরা নিরাপত্তার অভাবে ঘরবন্দি করে রাখছি। সমাজে এতটাই পচন ধরেছে যে, পরিবারের বাইরে কারও কাছে শিশু নিরাপদ নয়। আবার এমনও নয় যে, শুধুমাত্র পরিবারেই শিশু নিরাপদ।
এই ঘুণে ধরা সমাজে আমরা বাচ্চাদের পাশের বাসায় বা ফ্ল্যাটে খেলতে দিতে নিরাপদ মনে করি না। আমরা পত্রিকা খুললেই দেখতে পাই, পাশের বাড়ির কেউ বাচ্চাকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলেছে, কিংবা আপন মামা সম্পত্তির জন্য ভাগ্নেকে মেরে ফেলেছে, কিংবা গুম করে মুক্তিপণ চায় চাচা।
মনে পড়ে, খাগড়াছড়ির পানছড়িতে সাদিয়া আক্তার নামে ১১ মাস বয়সী এক শিশুকে আছাড় মেরে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল বাবার বিরুদ্ধে। ২০২৪ এর জুলাই মাসে শরিয়তপুরের এক মা শ্বাসরোধ করে নিজ সন্তানদের হত্যা করেছিল। কুমিল্লার দেবিদ্বারে নিখোঁজের সাতদিন পর ৫ বছরের শিশু ফাহিমার ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ পাওয়া যায়, আর এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া যায় তার বাবা আমির হোসেনের বিরুদ্ধেই। কিছুদিন আগের ঘটনা, মুনতাহাকে হত্যা করেছিল তার গৃহ শিক্ষিকা।
এই হচ্ছে বর্তমান সমাজ, যেখানে রক্ষকই ভক্ষক হয়ে উঠেছে। সেই সমাজে আপনি আমি চাইব, শিশুরা সুস্থভাবে বেড়ে উঠুক, কী দিচ্ছে এই সমাজ তার জন্য? সমাজের অসুস্থ প্রতিযোগিতা বাবা-মাকেও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তুলছে, সেই চাপ ঘরের শিশুর ওপর ফেলছেন বাবা-মা অনেক ক্ষেত্রেই।
যেখানে বাবা-মায়ের কাছেই সন্তানদের সবচেয়ে বেশি নিরাপদ থাকার কথা, সেখানে সমাজে নৈতিকতার অবক্ষয়ের কারণে সেই বাবা-মায়ের নিষ্ঠুরতার শিকার হচ্ছে শিশুরা। পরিবারের কিংবা বাইরে বড়দের স্বার্থ কিংবা লালসার শিকার হয়ে অকালেই প্রাণ ঝরছে শিশুদের। ঘরে কিংবা বাইরে, পরিবার কিংবা সমাজ-কোথাও এখন নিরাপদ নয় শিশুরা।
গড়ে মাসে ৩৪ শিশুর বেশি খুন হচ্ছে। এই খুন যেমন অনেক নৃশংস, তেমনি মানসিকভাবে খুন করে ফেলাও অনেক বড় প্রতিবন্ধকতা শিশুদের বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে। যেখানে নিজেদের মাঝে হানাহানি, কূটচাল, কূটকৌশলে ব্যস্ত জীবন, সেখানে শিশুদের জন্য সুস্থ পরিবেশ দেওয়া তো অনেক কঠিন হয়ে পড়ে।
তিন, আমরা যে অবারিত খোলা মাঠ-প্রান্তর দেখে বড় হয়েছি, খেলেছি ছোটবেলার সঙ্গীদের নিয়ে, আকাশে বাতাসে একটি ফড়িং ধরতে উড়ে উড়ে বেড়িয়েছি, সেই মাঠ-ঘাট-প্রান্তর তো রাষ্ট্র ব্যবস্থা এই প্রজন্মের শিশুদের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে। দ্রুত নগরায়ন আর অবকাঠামোগত উন্নয়ন শহরকে করেছে ইট পাথরের নিথর কারাগার, যেখানে শিশুদের খেলার মাঠ নেই, নেই মন খুলে আকাশ দেখার সুযোগ নেই।
যে শিশু খোলা আকাশ দেখল না, সেই শিশুর কাছে আমি আকাশের মতো বড় হওয়ার আশা করেন কীভাবে? বিশালতা শব্দের সমার্থক তাদের কি দেখিয়ে বোঝাবো? শিশুরা চাঁদ-তারার গল্প কথা বইয়ের পাতায় মুখস্থ করে, কয়জনের পক্ষে সম্ভব আকাশের ওই মিটিমিটি তারার দিকে তাকিয়ে মহাকাশের বিশালতা নিয়ে ভাবার, চিন্তা করার?
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিনে দিনে যে অসহনীয় পর্যায়ে যাচ্ছে, এই পরিবেশে শিশুকে এক মুহূর্তের জন্য চোখের আড়াল হতে দেওয়াও অনেক কঠিন। আত্মীয়স্বজনের মাঝে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ, কিছু হলেই ঝগড়া, প্রতিবেশীকে ফাঁসাতে শিশুকে হত্যাও করা হচ্ছে। আসলে মানুষের মধ্যে হিংস্রতা বাড়ছে। আর রাষ্ট্র কঠোর কঠিন আইনে শাস্তি নিশ্চিত করতে পারছে না বলে, এসব দিনদিন বেড়েই চলছে।
রাষ্ট্র তদারকি করছে স্কুলের পাঠ্যসূচি, বাড়াচ্ছে না শিক্ষকের বেতন, বাজেটে শিক্ষা খাতের জন্য নেই পর্যাপ্ত বরাদ্দ। অবকাঠামো কিছু উন্নয়ন দিয়ে বিদ্যালয়গুলোর মাঠ ধ্বংস করে গড়ে উঠছে বহুতল ভবন। এসব অবকাঠামোগত উন্নয়ন যে শিশুর বিকাশ, মন মানসিকতার বিকাশ ঘটে না, তার প্রমাণ তো আজকের এই তারুণ্য। প্রকৃত শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে না পারলে ভালো কিছু আশা করাটাই অন্যায় হবে।
শেষ করি এই বলে যে, সুবার এই চার দেয়ালের বন্দি, দোষ থেকে মুক্তির আকাঙ্ক্ষা একক কোনো ঘটনা নয়। আমাদের ঘরের বাচ্চাটিও এভাবেই নিজের স্বপ্নের কাছে নিজে হেরে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। একদিন এই স্বপ্নভাঙা মন দিয়ে এমন কিছু করে বসবে যে, আমাদের কারও আর কিছু করার থাকবে না।
সময় থাকতে তাদের দিকে তাকাই, তাদের দিনের একটা সময় বের করে কিছু সুন্দর মুহূর্ত উপহার দেয়, যেই মুহূর্তের কথা ভেবে তারা আমাদের সবচেয়ে কাছের মনে করবে, বাহিরের হাত ছানিতে উড়ে যেতে চাইবে না। পারিবারিক সম্পর্কগুলো হিংসা পরনিন্দায় না জড়িয়ে যৌথতাকে গুরুত্ব দেই, বাচ্চাদের তাদের কাজিনদের সাথে সম্পর্ক মজবুত করতে উৎসাহিত করি। বাবা-মা হিসেবে সারাক্ষণ কাজিনদের সাথে প্রতিযোগিতায় নামিয়ে না দেই। পরিবারের ভেতরেই গড়ে তুলতে হবে বন্ধুত্বের স্বপ্নজাল, যেন বাইরের কোনো খারাপ বন্ধুত্ব তাদের টেনে না নিয়ে যেতে পারে। তারা যাদের বন্ধু বানাতে চাই, তাদের বাসায় ডেকে পরিচিত হই, একটু সময় দেই, দেখি তারা কেমন?
ভালো হলে মিশতে দেওয়া, আর ভালো না হলে ধীরে ধীরে বুঝিয়ে সরিয়ে নিয়ে আসার সময়টুকু আমাদের দিতে হবে। সমাজের জাজমেন্টাল ধারণাগুলো থেকে বের হই, কার বাচ্চা কেমন তা সারাক্ষণ না বলি। মনে রাখতে হবে, প্রতিটা মানুষ যেমন স্বতন্ত্র, তেমনি বাচ্চারাও। যে যা পছন্দ করে, তাকে তা সুন্দরভাবে করতে দিলে সে ওখানেই ভালো কিছু করবে। তাদের দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হলে, তাদের ঘরেও দায়িত্ব দিতে হবে, দায়িত্ববোধ তৈরি করতে হবে।
বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের অনেক বেশি সহানুভূতিশীল ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করতে হবে। মা-বাবা-শিক্ষক-আত্মীয়স্বজন যে শিশুর সাথে যত ভালো আচরণ করে, গবেষণায় দেখা গেছে, সেই শিশু তত মানবিক ও বিনয়ী হয়ে ওঠে। উন্নত বিশ্বে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকদের বেতন বেশি দেওয়া হয় এবং রাষ্ট্র থেকে সম্মানও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা হয় কেননা তাদের হাতেই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।
সেখানে আমাদের দেশে প্রাইমারি শিক্ষকেরা বেতন বাড়াতে দাবি জানালে পুলিশের বেদম প্রহারের শিকার হয়। এখানেই রাষ্ট্রের শিশু, শিশুর বিকাশ, শিক্ষা ব্যবস্থা ও ভবিষ্যৎ সুনাগরিক গড়ে তোলার প্রতি আগ্রহের মাত্রা বোঝা যায়। তাহলে, এই দেশে কীভাবে সম্ভব সুনাগরিক পাওয়া? আর এভাবেই একারণেই সুবারা পালিয়ে যেতে চায়, হারিয়ে যেতে চায় মরীচিকার পেছনে!
ড. রাশেদা রওনক খান ।। সহযোগী অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: