রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের তত্ত্বে নিরাপত্তা ব্যবস্থা
প্রকাশিত:
২০ মার্চ ২০২৫ ১১:১৪
আপডেট:
২০ মার্চ ২০২৫ ২১:৫১

মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো নিরাপত্তা। ব্যক্তি পর্যায়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র সম্মিলিতভাবে কাজ করে। প্রান্তিক পরিসর থেকে বৃহত্তর রাষ্ট্রীয় কাঠামো পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে নিরাপত্তার ধারণা এবং এর প্রয়োগ সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের চিন্তা, তত্ত্ব এবং গবেষণা রয়েছে।
এ কথা সত্য যে, পরিবারই ব্যক্তির প্রথম নিরাপত্তা বলয়। মূলত শিশুর জন্ম থেকে শুরু করে তার মানসিক, শারীরিক এবং সামাজিক বিকাশ পরিবারে ঘটে। জন লক (John Locke)-এর সামাজিক চুক্তি তত্ত্ব অনুযায়ী, ব্যক্তির মৌলিক অধিকার—জীবন, স্বাধীনতা ও সম্পত্তি—প্রাথমিকভাবে পরিবার দ্বারা সুরক্ষিত হয়। পরিবারের বাইরে ব্যক্তি যখন সমাজে মেলামেশা করে, তখন তার নিরাপত্তার নতুন মাত্রা যুক্ত হয়।
সমাজ বা সম্প্রদায় ব্যক্তি নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, বিশেষত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে। রবার্ট অ্যালান ডাহল (Robert A. Dahl)-এর বহুমতবাদ তত্ত্ব অনুসারে, ব্যক্তি ও ছোট ছোট গোষ্ঠীগুলো একত্রিত হয়ে সামাজিক প্রতিষ্ঠান তৈরি করে, যা তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
জাঁ-জাক রুশো (Jean-Jacques Rousseau) তার ‘The Social Contract’ গ্রন্থে সামাজিক চুক্তি তত্ত্ব উপস্থাপন করেছেন। রুশোর মতে, প্রাকৃতিক অবস্থায় মানুষ স্বাধীন ও সুখী ছিল। কিন্তু সমাজের বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে অসমতা ও সংঘাতের সৃষ্টি হয়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য মানুষ একটি সামাজিক চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্র গঠন করে।
রুশো মনে করেন, রাষ্ট্র হলো সাধারণ ইচ্ছার (General Will) প্রতিনিধি, যা গোটা সমাজের কল্যাণ নিশ্চিত করে। সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণ ইচ্ছার ভিত্তিতে কাজ করে এবং তারা ব্যক্তির নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। রুশোর তত্ত্বে সামাজিক ন্যায়বিচার ও সমতার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
এমিল ডুর্খেইম (Émile Durkheim) একজন সমাজবিজ্ঞানী যিনি সামাজিক প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা নিয়ে গভীরভাবে আলোচনা করেছেন। তার মতে, সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলো সমাজের সংহতি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখে। ডুর্খেইমের তত্ত্ব অনুযায়ী, সামাজিক প্রতিষ্ঠান (যেমন পরিবার, শিক্ষা, ধর্ম, আইন) ব্যক্তির আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে এবং সমাজে শৃঙ্খলা বজায় রাখে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যক্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সমাজের মূল্যবোধ ও নৈতিকতা সংরক্ষণ করে। ডুর্খেইমের মতে, সামাজিক প্রতিষ্ঠান ছাড়া ব্যক্তির নিরাপত্তা ও সমাজের স্থিতিশীলতা অসম্ভব।
রাষ্ট্রের প্রশাসনিক কাঠামোর নিম্নস্তরে স্থানীয় সরকার থাকে, যা ব্যক্তির নিকটতম রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কেনেথ ওয়াল্টজ (Kenneth Waltz)-এর বাস্তববাদী তত্ত্ব অনুযায়ী, রাষ্ট্রের নিম্নস্তরের প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যক্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রথম ধাপ। রাষ্ট্রই সর্বোচ্চ পর্যায়ে ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সামরিক বাহিনী, বিচার ব্যবস্থা এবং নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ সংস্থাগুলো ব্যক্তিগত নিরাপত্তার চূড়ান্ত রক্ষাকবচ। হান্স মরগেনথাউ (Hans Morgenthau)-এর বাস্তববাদী তত্ত্ব অনুসারে, রাষ্ট্র তার নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাধ্য।
জাতিসংঘ ১৯৯৪ সালে মানবিক নিরাপত্তা তত্ত্ব উপস্থাপন করে, যেখানে বলা হয়, নিরাপত্তা শুধু সামরিক বা আইনশৃঙ্খলার বিষয় নয়, বরং এটি স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, খাদ্য, পরিবেশ এবং রাজনৈতিক স্বাধীনতার মতো বিষয়গুলোর সঙ্গেও সম্পর্কিত। ব্যারি বুজান (Barry Buzan)-এর সমালোচনামূলক নিরাপত্তা তত্ত্বও একই ধারণাকে তুলে ধরে। তবে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তার বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ।
প্রান্তিক নিরাপত্তা বা 'Marginal Security' বলতে সাধারণত সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা ও সুরক্ষাকে বোঝায়। তবে এই ধারণাকে আরও ক্ষুদ্রতর পরিসরে ব্যাখ্যা করা যায়, যেখানে এটি ব্যক্তিগত, পারিবারিক এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার সাথে সম্পর্কিত।
রাষ্ট্রচিন্তাবিদরা নাগরিকের প্রান্তিক নিরাপত্তা নিয়ে বিভিন্ন মতামত ও বিশ্লেষণ উপস্থাপন করেছেন, যা বর্তমান সমাজব্যবস্থা ও রাষ্ট্রের ভূমিকা সম্পর্কে গভীর অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা রাষ্ট্রচিন্তাবিদ থমাস হবস (Thomas Hobbes) তার 'লেভিয়াথান (Leviathan)' গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, রাষ্ট্রের প্রধান উদ্দেশ্য হলো নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
প্রান্তিক নিরাপত্তার ক্ষুদ্রতর পরিসরে এটি ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকে নির্দেশ করে। হবসের মতে, প্রাক-রাষ্ট্রীয় অবস্থায় মানুষের জীবন ছিল ‘একাকী, দরিদ্র, কদর্য, পশুত্বপূর্ণ ও সংক্ষিপ্ত’। রাষ্ট্রের উদ্ভব ঘটে এই অনিশ্চয়তা দূর করতে। তাই, রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো প্রতিটি নাগরিকের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, যা প্রান্তিক নিরাপত্তার প্রথম স্তর।
সামাজিক চুক্তির প্রতিফলন জাঁ-জাক রুশো তার ‘সামাজিক চুক্তি’ তত্ত্বে উল্লেখ করেছেন যে, রাষ্ট্র ও নাগরিকের মধ্যে একটি চুক্তির মাধ্যমে সমাজ গঠিত হয়। এই চুক্তির মূল উদ্দেশ্য হলো পারিবারিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। পারিবারিক নিরাপত্তা প্রান্তিক নিরাপত্তার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক, কারণ পরিবার হলো সমাজের মৌলিক একক। রাষ্ট্রচিন্তাবিদদের মতে, রাষ্ট্রের উচিত পারিবারিক সহিংসতা, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং অন্যান্য হুমকি থেকে পরিবারকে সুরক্ষা প্রদান করা।
তৃণমূল পর্যায়ে নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিকেন্দ্রীকরণের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে রাষ্ট্রচিন্তাবিদ অ্যালেক্সিস ডি টোকভিল (Alexis de Tocqueville) তার 'ডেমোক্রেসি ইন আমেরিকা (Democracy in Americ)' গ্রন্থে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। তিনি মনে করেন, স্থানীয় সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে রাষ্ট্রের কেন্দ্রীয়করণের পরিবর্তে বিকেন্দ্রীকরণ প্রয়োজন। স্থানীয় পর্যায়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা প্রান্তিক নিরাপত্তার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও সম্প্রদায়ভিত্তিক সংগঠনগুলোর মাধ্যমে নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। সামাজিক ন্যায়বিচারের ভিত্তি কার্ল মার্ক্স এবং ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস (Friedrich Engels)-এর মতে, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা ছাড়া প্রকৃত নিরাপত্তা অর্জন সম্ভব নয়। প্রান্তিক নিরাপত্তার ক্ষুদ্রতর পরিসরে এটি নাগরিকদের অর্থনৈতিক সুরক্ষাকে নির্দেশ করে। রাষ্ট্রের উচিত ন্যূনতম মজুরি, কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং শিক্ষার ব্যবস্থা করা, যাতে প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক চাহিদা পূরণ হয়। অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রান্তিক নিরাপত্তার একটি অপরিহার্য অংশ।
আধুনিক রাষ্ট্রের চ্যালেঞ্জ আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তাবিদরা মানসিক ও সামাজিক নিরাপত্তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। প্রান্তিক নিরাপত্তার ক্ষুদ্রতর পরিসরে এটি নাগরিকদের মানসিক সুস্থতা এবং সামাজিক সম্প্রীতিকে নির্দেশ করে। রাষ্ট্রের উচিত মানসিক স্বাস্থ্য সেবা, সামাজিক সংহতি এবং সম্প্রদায়ভিত্তিক কর্মসূচির মাধ্যমে নাগরিকদের মানসিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
প্রান্তিক নিরাপত্তা শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয় সীমানা বা সামরিক সুরক্ষার বিষয় নয়; এটি নাগরিক জীবনের প্রতিটি ক্ষুদ্রতর পরিসরে বিস্তৃত। রাষ্ট্রচিন্তাবিদদের মতে, ব্যক্তিগত, পারিবারিক, স্থানীয় সম্প্রদায়, অর্থনৈতিক এবং মানসিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই রাষ্ট্রের প্রধান দায়িত্ব। আধুনিক রাষ্ট্রকে এই দায়িত্ব পালনে আরও সক্রিয় ও সচেতন হতে হবে, যাতে প্রতিটি নাগরিক প্রকৃত অর্থে নিরাপদ ও সুরক্ষিত জীবনযাপন করতে পারে।
রাষ্ট্র একটি সমাজের সর্বোচ্চ সংগঠন, যার প্রধান লক্ষ্য হলো নাগরিকদের কল্যাণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এই নিরাপত্তা শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং কর্মসংস্থানের নিরাপত্তার সঙ্গেও জড়িত। একজন শ্রমিক, ব্যবসায়ী কিংবা পেশাজীবীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রকে বিভিন্ন স্তরে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হয়।
শ্রমিক, ব্যবসায়ী এবং বিভিন্ন পেশাজীবীদের নিরাপত্তার প্রসঙ্গটি গুরুত্বপূর্ণ। শ্রমিকরা সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রকে প্রথমত শ্রম আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। ন্যূনতম মজুরি, কর্মঘণ্টা নির্ধারণ, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সুবিধা এবং বীমা সংক্রান্ত নীতিমালা শ্রমিকদের মৌলিক অধিকার। শ্রমিকদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এর মধ্যে রয়েছে বেকার ভাতা, পেনশন সুবিধা, চিকিৎসা সহায়তা এবং দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণ। রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে যে, শ্রমিকরা তাদের শ্রমের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হচ্ছে।
ব্যবসায়ীদের জন্য রাষ্ট্রের প্রধান দায়িত্ব হলো একটি স্থিতিশীল ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করা। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, স্বচ্ছ নীতি ও আইনের শাসন ব্যবসায়ীদের জন্য অপরিহার্য। রাষ্ট্রকে কর নীতির সমন্বয় সাধন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমানো এবং বাণিজ্যিক বিরোধ দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া রাষ্ট্রকে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিল্পনীতি প্রণয়ন এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়, যা সমগ্র সমাজের জন্য কল্যাণকর। পেশাজীবীরা সমাজের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইন ও প্রযুক্তি খাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে অবদান রাখেন। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রকে পেশাগত স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে পেশাগত প্রশিক্ষণ, গবেষণার সুযোগ এবং পেশাজীবীদের জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধা তৈরি করা। রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে যে, পেশাজীবীরা তাদের কাজে স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশ করতে পারবেন এবং তাদের পেশাগত অধিকার লঙ্ঘিত হবে না। এছাড়া পেশাজীবীদের জন্য চিকিৎসা, বীমা ও অবসর সুবিধার মতো সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
রাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সামাজিক ন্যায়বিচার বজায় রাখা। এর জন্য রাষ্ট্রকে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও অংশগ্রহণমূলক শাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। রাষ্ট্রকে নাগরিক সমাজ, বেসরকারি সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।
একজন শ্রমিক, ব্যবসায়ী কিংবা পেশাজীবীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব। এই নিরাপত্তা শুধুমাত্র শারীরিক নিরাপত্তার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় বরং এটি অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পেশাগত নিরাপত্তাও অন্তর্ভুক্ত করে। পরিশেষে বলা যায় ব্যক্তির নিরাপত্তা একটি বহুমাত্রিক বিষয় যা পরিবার, সমাজ, স্থানীয় সরকার ও রাষ্ট্রের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে নিশ্চিত হয়। আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর গবেষণায় ব্যক্তির নিরাপত্তাকে সামগ্রিক উন্নয়ন ও মানবাধিকারের সাথে সম্পর্কিত করে তুলে ধরা হয়েছে।
ড. সুলতান মাহমুদ রানা ।। অধ্যাপক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: