জামায়াতের সমাবেশ: কানায় কানায় পূর্ণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান
প্রকাশিত:
১৯ জুলাই ২০২৫ ১০:১০
আপডেট:
১৯ জুলাই ২০২৫ ১৯:১৩

রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে লাখ লাখ মানুষের ঢল নেমেছে। সমাবেশ শুরুর ৬ ঘণ্টা আগেই দলটির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উপস্থিতিতে প্রায় কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। এছাড়া উদ্যানের বাইরেও অবস্থান করছেন জামায়াতের হাজার হাজার নেতাকর্মী।
জুলাই গণহত্যার বিচার, ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিতকরণ এবং মৌলিক সংস্কারসহ ৭ দফা দাবিতে এই জাতীয় সমাবেশের আয়োজন করেছে জামায়াত। সমাবেশে অংশ নিতে সারা দেশ থেকে প্রায় ১০ লাখ নেতা-কর্মীর উপস্থিতি আশা করছেন দলটির নেতারা।
দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বাস, ট্রেন ও লঞ্চে করে আসা নেতাকর্মীরা রাজধানীতে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে প্রবেশ করছেন। নেতাকর্মীদের অনেকের হাতে তাদের দলীয় প্রতীক দাাঁড়িপাল্লা শোভা পাচ্ছে। দাঁড়িপাল্লা ও দলীয় মনোগ্রাম সম্বলিত টি-শার্ট, পাঞ্জাবি পরে এসেছেন হাজারো নেতাকর্মী।
শনিবার (১৯ জুলাই) ফজরের পর থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।
এদিকে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশ সফল করতে দায়িত্ব পালন করছে ২০ হাজারের মতো স্বেচ্ছাসেবক। ভোর থেকে থেকে সমাবেশস্থলের আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিভিন্ন স্পটে দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবকরা।
শনিবার ভোর থেকে হাইকোর্ট এলাকা, মৎস্যভবন, শাহবাগ এলাকার বিভিন্ন স্পট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
স্বেচ্ছাসেবকরা সবাই একই ধরনের ড্রেস পরে বিভিন্ন স্পটে অবস্থান নিয়েছেন। তারা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতাকর্মীদের সহযোগিতা করছেন। কোন অঞ্চলের মানুষ কোন গেট দিয়ে প্রবেশ করবেন, তা বুঝিয়ে দিচ্ছেন।
মৎস্যভবন স্পটের স্বেচ্ছাসেবক টিমের প্রধান মাসুদুর রহমান বলেন, সমাবেশে আগত নেতাকর্মীদের সহযোগিতা করাই আমাদের উদ্দেশ্য। রাজধানীজুড়ে আমাদের ২০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করছেন। শুধু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশেই দায়িত্ব পালন করছেন ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক।
এদিকে শনিবার ভোর থেকে বিভিন্ন জায়গা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী প্রবেশ করতে দেখা গেছে জামায়াতের নেতাকর্মীদের।
জামায়াতের ৭ দফা দাবিগুলো হলো-
১. ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ও অন্যান্য সময় সংঘটিত সকল গণহত্যার বিচার;
২. রাষ্ট্রের সব স্তরে প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার;
৩. ঐতিহাসিক জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্রের পূর্ণ বাস্তবায়ন;
৪. জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন;
৫. জনগণের প্রকৃত মতামতের প্রতিফলন ঘটাতে পিআর (প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন;
৬. প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ;
৭. রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য সমান সুযোগ ও ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিতকরণ।
এদিকে সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা দুপুরে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ভোর থেকেই দলে দলে সমাবেশস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে শুরু করেছেন নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। শুক্রবার রাতেও অনেক নেতাকর্মী সোহরাওয়ার্দীতে জড়ো হন।
ডিএম /সীমা
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: