মেহমানকে বিদায় দেওয়ার দোয়া
প্রকাশিত:
৬ এপ্রিল ২০২৫ ১১:১১
আপডেট:
৭ এপ্রিল ২০২৫ ১০:০৭

মেহমানদারি ইসলামের অন্যতম একটি বিধান। সকল নবীদের আদর্শ। এই গুণটির কারণে আমাদের নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) তৎকালীন সময়ে কাফের-মুশরিকদের কাছেও সমাদৃত ছিলেন। ইসলামে মেহমানদারিকে উত্তম গুণ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
নবীজি (সা.) মেহমানের সম্মান করতে তাকিদ দিয়েছেন। মেহমানকে সম্মান করা একজন মুসলমানের ঈমানি কর্তব্য।
নবীজি (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ ও পরকালের প্রতি যে ঈমান রাখে সে যেন মেহমানের সমাদর করে।’ (বুখারি, হাদিস : ৬১৩৬)
অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, ‘যে মেহমানদারি করে না তার মাঝে কোনো কল্যাণ নেই।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ১৭৪১৯)
আরেক হাদিসে নবী করিম (সা.) হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.)-কে লক্ষ্য করে বলেন, ... নিশ্চয়ই তোমার ওপর তোমার মেহমানের হক রয়েছে।’ (বুখারি, হাদিস : ৬১৩৪)
মেহমানকে বিদায়ের সময়েও সম্মান জানাতেন এবং তার কল্যাণ কামনা করতেন মহানবী সা.।
মেহমানকে বিদায়ের সময় এই দোয়াটি পড়তেন তিনি।
اَسْتَوْدِ عُ اللهَ دِيْنَكُمْ وَاَمَانَتَكُمْ وَخَوَاتِيْمَ اَعْمَالِكُمْ.
উচ্চারণ : আস্তাউদি‘উল্লাাহা দী নাকুম ওয়া আমাা নাতাকুম ওয়া খওয়াা তীমা আ’মাালিকুম।
অর্থ : তোমার দ্বীন-ঈমানকে এবং তোমার আমানতদারীকে এবং তোমার হোসনে খাতিমাকে (ঈমানের উপর মৃত্যু) আল্লাহ তা’আলার হাতে সোপর্দ করছি।
আহমাদ ইবনে আবু আবদুল্লাহ সালীমী বাসরী (রহঃ) ইবন উমার (রা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন নবী (সা) কোন ব্যক্তি কে যখন বিদায় জানাতেন তখন নিজ হাতে তার হাত ধরতেন। ঐ ব্যক্তি যতক্ষন না নিজে নবী (সা) এর হাত ছাড়ত ততক্ষন তিনি তার হাত ছাড়তেন না। এই সময় তিনি বলতেন, استودع الله دينك وامانتك وخواتيم عملك ( সুনান তিরমিজি, হাদিস :৩৪৪২ )
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: