বুধবার, ২৩শে জুলাই ২০২৫, ৭ই শ্রাবণ ১৪৩২


অন্যের জীবন রক্ষাকারীর প্রশংসায় কোরআনে যা বলা হয়েছে


প্রকাশিত:
২২ জুলাই ২০২৫ ১৬:৫০

আপডেট:
২৩ জুলাই ২০২৫ ০৩:২০

ছবি সংগৃহীত

খুন-রাহাজানি, হত্যাকাণ্ড যেন নিত্যকার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন অন্যায়ভাবে হত্যার ঘটনা চোখে পড়ে। তুচ্ছ স্বার্থ, সামান্য ঘটনায় দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পেশী শক্তি খাটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে নিরাপরাধকে।

অনেক সময় স্বার্থের দ্বন্দ্বে মানুষ এতোটাই অন্ধ হয়ে পড়ে যে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে হত্যার জন্য খুনীকে ভাড়া করা হয়। তার পেছনে অর্থ ব্যয় করা হয়। এমন অসুস্থ মানসিকতাকে পবিত্র কোরআনে পুরো মানব জাতিকে হত্যার শামিল বলে গণ্য করা হয়েছে।

অনেকে আবার সম্পূর্ণ এর বিপরীত। যারা অন্যের রক্ত দেখে আনন্দ পান না। তুচ্ছ স্বার্থের থেকে অন্যের প্রাণ তাদের কাছে অনেক প্রিয়। কেউ কেউ নিজের প্রাণের ওপর অন্যের জীবন বাঁচানোকে প্রাধান্য দেন। অন্যের জীবন বাঁচাতে নিজের জীবনকে তুচ্ছজ্ঞান করেন। এই মানুষগুলোর প্রশংসা করেছেন আল্লাহ তায়ালা। কোনো একজন নিরাপরাধের হত্যাকে যেমন তিনি পুরো মানবজাতির হত্যা হিসেবে গণ্য করেছেন। একইভাবে অন্যের জীবন রক্ষাকারীকে পুরো মানবজাতির রক্ষাকারী হিসেবে গণ্য করেছেন।

পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে,

مِنۡ اَجۡلِ ذٰلِكَ ۚۛؔ كَتَبۡنَا عَلٰی بَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ اَنَّهٗ مَنۡ قَتَلَ نَفۡسًۢا بِغَیۡرِ نَفۡسٍ اَوۡ فَسَادٍ فِی الۡاَرۡضِ فَكَاَنَّمَا قَتَلَ النَّاسَ جَمِیۡعًا ؕ وَ مَنۡ اَحۡیَاهَا فَكَاَنَّمَاۤ اَحۡیَا النَّاسَ جَمِیۡعًا ؕ وَ لَقَدۡ جَآءَتۡهُمۡ رُسُلُنَا بِالۡبَیِّنٰتِ ۫ ثُمَّ اِنَّ كَثِیۡرًا مِّنۡهُمۡ بَعۡدَ ذٰلِكَ فِی الۡاَرۡضِ لَمُسۡرِفُوۡنَ

এ কারণেই, আমি বনী ইসরাঈলের উপর এই হুকুম দিলাম যে, যে ব্যক্তি কাউকে হত্যা করা কিংবা যমীনে ফাসাদ সৃষ্টি করা ছাড়া যে কাউকে হত্যা করল, সে যেন সব মানুষকে হত্যা করল। আর যে তাকে বাঁচাল, সে যেন সব মানুষকে বাঁচাল। আর অবশ্যই তাদের নিকট আমার রাসূলগণ সুস্পষ্ট নিদর্শনসমূহ নিয়ে এসেছে। তা সত্ত্বেও এরপর যমীনে তাদের অনেকে অবশ্যই সীমালঙ্ঘনকারী। (সুরা মায়েদা, আয়াত : ৩২)

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, কাউকে জীবিত করার অর্থ, আল্লাহ যাকে হত্যা করা হারাম ঘোষণা করেছেন সে ধরনের কোন মানুষকে হত্যা না করা। এতে করে সে যেন সবাইকে জীবিত রাখল। অর্থাৎ যে অন্যায়ভাবে কোনো ব্যক্তিকে হত্যা করা হারাম মনে করে, তার থেকে সমস্ত মানুষ জীবিত থাকতে সমর্থ হলো। (তাবারী)

এক হাদিসে সাঈদ ইবনে জায়দ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি নিজ মাল রক্ষার্থে যুদ্ধ করে মারা যায় সে শহীদ। আর যে ব্যক্তি তার পরিবারের লোকদের রক্ষা করতে গিয়ে মারা যায়, সেও শহীদ, আর যে ব্যক্তি তার দ্বিন রক্ষা করার জন্য নিহত হয়, সেও শহীদ। এবং যে নিজ প্রাণ রক্ষা করতে গিয়ে নিহত হয়, সেও শহীদ। (নাসায়ি, হাদিস : ৪০৯৫)

ডিএম /সীমা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top