বুধবার, ২০শে আগস্ট ২০২৫, ৫ই ভাদ্র ১৪৩২


মানুষকে যে ধরণের মাটি দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে


প্রকাশিত:
২০ আগস্ট ২০২৫ ১৬:৩৯

আপডেট:
২০ আগস্ট ২০২৫ ১৭:৩৯

ছবি সংগৃহীত

মানুষের আগে পৃথিবীতে জিন জাতি বসবাস করতো। দীর্ঘদিন পৃথিবীতে বসবাসের ফলে তারা অহংকারী ও আল্লাহর অবাধ্য হয়ে উঠলো। অবাধ্য জিন জাতিকে ফেরেশতাদের মাধ্যমে শাস্তি দিয়ে পৃথিবী থেকে বিতাড়িত করলেন আল্লাহ তায়ালা। এরপর সৃষ্টি করলেন মানব জাতি।

তায়ালা মানুষকে মাটি থেকে সৃষ্টি করছেন। পবিত্র কোরআন হাদিসের একধিক জায়গায় মানুষকে মাটি থেকে সৃষ্টির বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে—

هُوَ الَّذِیۡ خَلَقَكُمۡ مِّنۡ طِیۡنٍ ثُمَّ قَضٰۤی اَجَلًا ؕ وَ اَجَلٌ مُّسَمًّی عِنۡدَهٗ ثُمَّ اَنۡتُمۡ تَمۡتَرُوۡنَ

তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন কাদা মাটি থেকে তারপর নির্ধারণ করেছেন একটি কাল, আর তাঁর কাছে আছে একটি নির্দিষ্ট কাল, তারপর তোমরা সন্দেহ কর। (সুরা আনআম, আয়াত : ০২)

অন্য আয়াতে বর্ণিত হয়েছে—

یٰۤاَیُّهَا النَّاسُ اِنۡ كُنۡتُمۡ فِیۡ رَیۡبٍ مِّنَ الۡبَعۡثِ فَاِنَّا خَلَقۡنٰكُمۡ مِّنۡ تُرَابٍ ثُمَّ مِنۡ نُّطۡفَۃٍ ثُمَّ مِنۡ عَلَقَۃٍ ثُمَّ مِنۡ مُّضۡغَۃٍ مُّخَلَّقَۃٍ وَّ غَیۡرِ مُخَلَّقَۃٍ لِّنُبَیِّنَ لَكُمۡ ؕ وَ نُقِرُّ فِی الۡاَرۡحَامِ مَا نَشَآءُ اِلٰۤی اَجَلٍ مُّسَمًّی ثُمَّ نُخۡرِجُكُمۡ طِفۡلًا ثُمَّ لِتَبۡلُغُوۡۤا اَشُدَّكُمۡ ۚ وَ مِنۡكُمۡ مَّنۡ یُّتَوَفّٰی وَ مِنۡكُمۡ مَّنۡ یُّرَدُّ اِلٰۤی اَرۡذَلِ الۡعُمُرِ لِكَیۡلَا یَعۡلَمَ مِنۡۢ بَعۡدِ عِلۡمٍ شَیۡئًا ؕ وَ تَرَی الۡاَرۡضَ هَامِدَۃً فَاِذَاۤ اَنۡزَلۡنَا عَلَیۡهَا الۡمَآءَ اهۡتَزَّتۡ وَ رَبَتۡ وَ اَنۡۢبَتَتۡ مِنۡ كُلِّ زَوۡجٍۭ بَهِیۡجٍ

হে মানুষ! যদি তোমরা পুনরুত্থানের ব্যাপারে সন্দেহে থাক তবে নিশ্চয়ই জেনে রেখো, আমি তোমাদেরকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছি, তারপর শুক্র থেকে, তারপর আলাকা থেকে, তারপর পূর্ণাকৃতিবিশিষ্ট অথবা অপূর্ণাকৃতিবিশিষ্ট গোশত থেকে। তোমাদের নিকট বিষয়টি সুস্পষ্টরূপে বর্ণনা করার নিমিত্তে। আর আমি যা ইচ্ছা করি তা একটি নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত মাতৃগর্ভে অবস্থিত রাখি।

অতঃপর আমি তোমাদেরকে শিশুরূপে বের করি, পরে যাতে তোমরা যৌবনে উপনীত হও। তোমাদের মধ্যে কারো কারো মৃত্যু দেয়া হয় এ বয়সেই, আবার কাউকে কাউকে ফিরিয়ে নেয়া হয় হীনতম বয়সে, যাতে সে জ্ঞান লাভের পরও কিছু না জানে। তুমি যমীনকে দেখতে পাও শুষ্কাবস্থায়, অতঃপর যখনই আমি তাতে পানি বর্ষণ করি, তখন তা আন্দোলিত ও স্ফীত হয় এবং উদগত করে সকল প্রকার সুদৃশ্য উদ্ভিদ। (সুরা হজ, আয়াত : ০৫)

আল্লাহ তায়ালা মানুষ বা আদম আলাইহিস সালামকে একটি বিশেষ মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন। পুরো পৃথিবীর মাটির অংশ অন্তর্ভুক্ত ছিল এতে। এ কারণেই আদম-সন্তানরা বর্ণ, আকার, চরিত্র ও অভ্যাসে বিভিন্ন।

কেউ কৃষ্ণবর্ণ, কেউ শ্বেতবর্ণ, কেউ লালবর্ণ, কেউ কঠোর, কেউ নম্র, কেউ পবিত্র-স্বভাব বিশিষ্ট এবং কেউ অপবিত্র স্বভাবের হয়ে থাকে।

হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন—

আল্লাহ তায়ালা আদমকে এমন এক মুষ্টি মাটি থেকে তৈরি করেছেন যে মুষ্টি সমস্ত মাটি থেকে নেয়া হয়েছে। তাই আদম সন্তান মাটির মতই হয়েছে। তাদের মধ্যে লাল, সাদা, কালো, আবার এর মাঝামাঝি রয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ নম্র, কেউ চিন্তাগ্রস্ত, কেউ মন্দ, কেউ ভাল, কেউ এর মাঝামাঝি পর্যায়ের রয়েছে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৬৯৩)

ডিএম/রিয়া



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top