সাফের ম্যাচ ফি পাননি সাবিনারা
প্রকাশিত:
২৬ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:৩৩
আপডেট:
৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৫:৩৬
৩০ অক্টোবর নেপালের কাঠমান্ডুতে সাবিনারা টানা দ্বিতীয়বার সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। এই সাফে সাবিনারা চারটি ম্যাচ খেলেছেন। চ্যাম্পিয়ন দলকে বাফুফে এখনো সেই ম্যাচ ফি দিতে পারেনি।
বাফুফের সঙ্গে নারী ফুটবলারদের চুক্তি অনুযায়ী যারা ম্যাচ খেলেন তারা দশ হাজার টাকা করে ম্যাচ ফি পাবেন। সদ্য সমাপ্ত সাফ তো বটেই, জুন ও জুলাই উইন্ডোতে খেলা চার প্রীতি ম্যাচের ফি’ও বকেয়া রয়েছে। বাফুফের কাছে নারী ফুটবলারদের আট ম্যাচ ফি পাওনা।
সাবিনারা অক্টোবরের মাঝামাঝি সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে যান। তখন তাদের চার ম্যাচ ফি ও সেপ্টেম্বর মাসের বেতন বকেয়া ছিল। চ্যাম্পিয়ন হয়ে আসার পর এ নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হলে বাফুফের নারী উইংয়ের প্রধান দাবি করেছিলেন শুধু অক্টোবর মাসের বেতনই বাকি। যদিও একাধিক নারী ফুটবলার ও বাফুফের দায়িত্বশীল বিভাগ নিশ্চিত করেছে এখনো সেপ্টেম্বর মাসের বেতন বকেয়া এবং ম্যাচ ফি’র সংখ্যা আটে দাঁড়িয়েছে।
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বাফুফের নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ বেশ কয়েকবার মিডিয়ায় সরকার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে নারী ফুটবলারদের পাশে দাড়ানোর আহবান জানিয়েছেন। অথচ তারা নিজেরাই নিজেদের চুক্তি ঠিক মতো রক্ষা করতে পারেন না। বাফুফের তহবিলে সঙ্কট আছে তবে যারা বাফুফে নির্বাহী কমিটিতে রয়েছেন তারা প্রায় সবাই আর্থিকভাবে বেশ স্বচ্ছল। সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে অনেকেই ফেডারেশনে নিজের চেয়ারের জন্য জন্য লাখ লাখ টাকা খরচ করেছেন। নির্বাচনে জয়ের পর নারী দলের সাফল্যে তারাও উদ্ভাসিত হচ্ছেন কিন্তু নারীদের প্রাপ্য পাওনা বুঝিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে নিশ্চুপ।
নির্বাচনের আগে নারী ফুটবল কমিটিতে যারা ছিলেন তাদের অনেকেই নির্বাচনে পুনরায় জিতেছেন। তারা চ্যাম্পিয়ন নারীদের প্রতি এই অবহেলার দায় কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না। নির্বাচনের ব্যস্ততায় দলনেতা হয়েও কাঠমান্ডু সফরে শুরু থেকে ছিলেন না নির্বাহী সদস্য টিপু সুলতান। নির্বাচনের পর ফাইনালের আগের দিন উপস্থিত হয়েছিলেন। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এখন বিভিন্ন সংবর্ধনায় দলনেতা হিসেবে উপস্থিত হচ্ছেন এবং আর্থিক সম্মাননাও গ্রহণ করছেন বাফুফের নির্বাহী কমিটির সদস্য।
সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর নারী ফুটবলাররা ইতোমধ্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে ১ কোটি, বিসিবির ২০ লাখ, সাউথ ইস্ট ব্যাংক থেকে জনপ্রতি ৩ লাখ, চ্যানেল আই ও ওয়ালটন থেকে সম্মাননা পেয়েছেন। সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে এক কোটি টাকা প্রদানের ঘোষণা করেছে। অথচ বাফুফে এখনো মেয়েদের প্রাপ্যই বুঝিয়ে দেয়নি। চ্যাম্পিয়ন ফুটবলারদের বাফুফে ছুটিতে পাঠিয়েছে তাদের হাতে কিছু না দিয়েই।
নারী ফুটবলাররা ছুটিতে যার যার বাড়িতে রয়েছেন। কবে নাগাদ ক্যাম্পে ফিরবেন তারা জানেন না। বাফুফেও খুব দ্রুত তাদের ক্যাম্পে ফেরানোর তাগিদ নেই কারণ ক্যাম্পে ফিরলেই ফেডারেশনের ঘোষণাকৃত দেড় কোটি টাকা বোনাসের চাপ। ৯ অক্টোবর নির্বাহী সভায় সাফ চ্যাম্পিয়ন দলের দেড় কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা হয়। নির্বাহী কমিটির কর্মকর্তারা সম্মিলিতভাবেই এটি ব্যবস্থা করার কথা। সেই ব্যবস্থা কবে নাগাদ হয় সেই অপেক্ষায় নারী ফুটবলাররা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: