গ্রামীণফোন ২০২৩ সালে আয় করেছে ১৫৮৭১ কোটি টাকা
 প্রকাশিত: 
 ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১১:০৩
 আপডেট:
 ৪ নভেম্বর ২০২৫ ১৫:৩৯
                                ২০২৩ সালে গ্রামীণফোন লিমিটেড ১৫৮৭১.৬ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫.৫ শতাংশ বেশি। গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে মোট ৮ কোটি ২০ লাখ গ্রাহক নিয়ে গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা স্থিতিশীল রয়েছে। গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহকের ৫৬. ৯ শতাংশ অথবা ৪ কোটি ৬৬ লাখ গ্রাহক ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করছেন।
গ্রামীণফোনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, সেবার মান উন্নয়ন এবং পরিপার্শ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে রাজস্ব ও ইবিআইটিডিএ উভয় ক্ষেত্রে আমাদের ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত ছিল। গ্রাহককেন্দ্রিতা এবং নিজস্বকরণ মাথায় রেখে কর্ম পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা কৌশলগতভাবে স্পেকট্রাম প্রসারণ করেছি এবং ক্রমাগত নেটওয়ার্কের সক্ষমতা উন্নয়ণে কাজ করেছি। নিরবচ্ছিন্ন অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে গ্রাহকদের প্রয়োজনগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে দেশের সবেচেয়ে আস্থাভাজন নেটওয়ার্ক হিসেবে আমরা ডিজিটাল সক্ষমতার উপর গুরুত্বরোপ বৃদ্ধি করেছি যার ফলে আমরা আমাদের ডিজিটাল টাচপয়েন্টগুলিতে গ্রাহকের সাথে বর্ধিত যোগাযোগ লক্ষ্য করেছি।
গ্রামীণফোনের চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) অটো রিসব্যাক বলেন, চতুর্থ প্রান্তিকে গ্রামীণফোন তার উন্নত নেটওয়ার্ক এবং গ্রাহককেন্দ্রিক সমাধানে বিনিয়োগ করার প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে শক্তিশালী ফিনান্সিয়াল পারফরমেন্স বজায় রেখেছে। ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, নেটওয়ার্ক নেতৃত্ব প্রসারিত করার মাধ্যমে টানা এগারো প্রান্তিকে গ্রামীণফোনের লক্ষ্যণীয় আর্থিক অগ্রগতি এবং ইবিআইটিডিএ-এর ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি অব্যহত আছে। চতুর্থ প্রান্তিকে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সাবস্ক্রিপশন ও ট্রাফিক রেভিনিউ ৬.৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে , যা আগের প্রান্তিকে ছিলো ৬.০ শতাংশ।
গ্রামীণফোন টানা পাঁচ প্রান্তিকে ডাটা রাজস্ব বৃদ্ধির হার দুই অঙ্কে অব্যহত রেখেছে। শক্তিশালী টপ-লাইন উন্নয়ন এবং শক্তিশালী আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার মাধ্যমে, মুনাফা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫৮.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে মোট মুনাফার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৯০ কোটি টাকা। 
মূলত ফোরজি নেটওয়ার্ক স্থাপন এবং ফাইবার সংযোগ সম্প্রসারণের পাশাপাশি ২৬০০ মেগাহার্জ স্পেকট্রাম প্রসারণে ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে গ্রামীণফোন (লাইসেন্স, ইজারা ও এআরও ছাড়া) ৩১৭.৯ কোটি টাকার মূলধনী বিনিয়োগ করেছে। গ্রাহকদের জন্য আরো সমৃদ্ধ নেটওয়ার্ক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে গত ১২ মাসে ১৬০০ নতুন ফোরজি সাইট চালু করেছে গ্রামীণফোন, যার মধ্যে রয়েছে ১৪০০ নতুন কভারেজ সাইট। ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিক শেষে গ্রামীণফোনের মোট ফোরজি সাইটের সংখ্যা ২১,২০০ যার মাধ্যমে ৯৭.৯ শতাংশ গ্রাহক ফোরজি সেবার আওতায় রয়েছেন।
২০২৩ সালে গ্রামীণফোন রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়েছে ১২,২০০ কোটি টাকা যা গ্রামীণফোনের মোট রাজস্বের ৭৭ শতাংশ। মূলত কর, মূসক, শুল্ক, লাইসেন্স ও স্পেকট্রাম বরাদ্দ ফি বাবদ এই অর্থ প্রদান করেছে অপারেটরটি।

                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: