কোন রঙের ফোন বেশি টেকসই?
প্রকাশিত:
৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১০:৩৮
আপডেট:
৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:৫০

আজকাল স্মার্টফোন কেনার সময় কেবল ব্র্যান্ড, ফিচার বা দামের দিকে নয়—রঙের দিকেও সমান গুরুত্ব দেন ক্রেতারা। কেউ কালো, কেউ সাদা, আবার কেউ নীল বা গোল্ডেন ফোন পছন্দ করেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, ফোনের রঙ কি তার টেকসই হওয়ার ওপর কোনো প্রভাব ফেলে? গবেষণা ও ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা বলছে, রঙ ফোনের মেকানিক্যাল টেকসইতায় তেমন প্রভাব ফেলে না, তবে ব্যবহারের ধরন ও বাহ্যিক দাগ-ছোপ টিকিয়ে রাখার দিক থেকে রঙ একটি বড় ভূমিকা রাখে।
কোন রঙে দাগ-ছোপ কম দেখা যায়
গাঢ় রঙের ফোন যেমন কালো, নীল বা ডার্ক গ্রে, তুলনামূলকভাবে দাগ, আঙুলের ছাপ ও ছোটখাটো স্ক্র্যাচ সহজে ঢেকে রাখে। এগুলো দেখতে দীর্ঘদিন নতুনের মতো লাগে। অন্যদিকে হালকা রঙের ফোন যেমন সাদা বা সিলভার, খুব দ্রুত ময়লা ও স্ক্র্যাচ দৃশ্যমান হয়।
সানলাইট ও ফেডিং প্রভাব
গবেষণা অনুযায়ী, গাঢ় রঙের ফোন দীর্ঘদিন সূর্যের আলোয় থাকলে সামান্য রঙ ফিকে হয়ে যেতে পারে। তবে কোম্পানিগুলো এখন কোটিং ও প্রিমিয়াম পেইন্ট টেকনোলজি ব্যবহার করে, যাতে রঙ সহজে নষ্ট না হয়। হালকা রঙের ফোনে ফেডিং সমস্যা তুলনামূলকভাবে কম।
ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা
কালো/ডার্ক ফোন: দেখতে স্টাইলিশ, দাগ কম দেখা যায়, তবে ধুলা সহজে ধরা পড়ে।
সাদা/সিলভার ফোন: স্মার্ট লুক, তবে স্ক্র্যাচ ও ময়লা দ্রুত বোঝা যায়।
গোল্ডেন/রঙিন ফোন: আভিজাত্য বাড়ায়, তবে ব্যবহার বেশি হলে রঙ চটে যেতে পারে।
ফোনের রঙ সরাসরি টেকসই হওয়ার কারণ নয়, বরং ফোনের বডি মেটেরিয়াল, গ্লাসের মান ও প্রটেকশন কভার বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তবে দৈনন্দিন ব্যবহারের সুবিধার জন্য কালো বা ডার্ক রঙের ফোন তুলনামূলকভাবে বেশি টেকসই মনে হয়, কারণ এগুলোতে দাগ-ছোপ ও স্ক্র্যাচ সহজে বোঝা যায় না।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: