রবিবার, ৭ই জুলাই ২০২৪, ২৩শে আষাঢ় ১৪৩১


পরিবার পরিকল্পনার চুক্তিভিত্তিক প্রকল্প বহালের দাবি


প্রকাশিত:
৪ জুলাই ২০২৪ ১৮:১৭

আপডেট:
৭ জুলাই ২০২৪ ১২:৫২

ছবি : মামুন রশিদ

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ক্লিনিক্যাল কনট্রাসেপশন সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রোগ্রাম প্রকল্পের মেয়াদ গত ৩০ জুন শেষ হয়। ফলে এই প্রকল্পে কর্মরত সাড়ে তিন হাজার পেইড পেয়ার ভলান্টিয়ার চাকরি হারায়। এতে দুর্বিষহ জীবন কাটাতে হবে তাদের। প্রকল্পটি বহাল রেখে দু'‌মোঠো ডাল ভাত খাওয়ার সুযোগ চেয়েছে সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রোগ্রামের কর্মীরা।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পেইড ফেয়ার ভলান্টিয়ার অ্যাসোসিয়েশনের কর্মীরা এসব কথা বলেন।

এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, পেইড পেয়ার ভলান্টিয়ারের সভাপতি লায়লা আকতার। এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমি, সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল মাওয়া লাবনী।

সংবাদ সম্মেলন জানানো হয়, পেইড পেয়ার ভলান্টিয়াররা নববিবাহিত দম্পত্তিদের পদ্ধতি গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা, গর্ভবতী মা রেফার করা, গর্ভকালীন সেবা, প্রসবোত্তর সেবা, ইপি আই কার্যক্রম, ভিটামিন এ ক্যাম্পল ক্যাম্পেইন, হাম রুবেলা, কিশোর-কিশোরী সেবা ও পরামর্শ দেয়া, গর্ভবতী মায়েদের তালিকা হাল নাগাদ করা, জন্মমৃত্যুর তালিকা হাল নাগাদ করা, প্রতিমাসে উঠান বৈঠক দম্পত্তিদের পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণ নিশ্চিত করে নিয়মিত প্রতিমাসে রিপোর্ট প্রদান করেছে। এছাড়া করোনা ভ্যাকসিন প্রদানে সহযোগিতা ও কোভিট-১৯ ভ্যাকসিনের সার্বিক সহযোগিতা করেছে।

পেইড পেয়ার ভলান্টিয়ারের সভাপতি লায়লা আকতার বলেন, ক্লিনিকেল কনট্রাসেপশন সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রোগ্রামের আওতায় কাজ নাই, ভাতা নাই ভিত্তিতে ২০১৬ সালের মে মাস থেকে কর্মরত আছি। দেশের ১০০ টি উপজেলায় ৩ হাজার ৬৮৬ জন কাজ করি।

তিনি বলেন, গত মাসের ২৩ তারিখ অধিদপ্তরের চিঠির মাধ্যমে জানতে পারি আমাদের কার্যক্রম এই বছরের ৩০ জুন বন্ধ হয়ে যাবে। ৭ দিন আগে প্রকল্প বন্ধের এই নোটিশে আমরা দিশেহারা হয়ে পড়ি। আমাদের অনেকের স্বামী প্রতিবন্ধী, অনেকে বিধবা, অনেকের স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। ফলে বাচ্চাদের ভরণপোষণের আমাদের বহণ করতে হচ্ছে।

সুমি বলেন, আমার স্বামী নেই। দুই বাচ্চা আছে। চাকরি না থাকলে তাদের খাওয়া, পড়া বন্ধ হয়ে যাবে। দৈনিক ৪০০ টাকা বেতনে আমরা কাজ করেছি। তাতে আমাদের আপত্তি নেই। তবুও প্রকল্প চালু থাকুক। আমার বাচ্চা দু'মুঠো খাবার পাবে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, প্রকল্পটি বহাল রেখে অসহায় ৩ হাজার ৬৮৬টি পরিবারের মুখের দিকে তাকিয়ে দু'মোঠো ডাল ভাত খাওয়ার সুযোগ করে দিন। আমাদের বিশ্বাস আমাদের মমতাময়ী মা বিধবা নারী পরিতেক্তা এবং সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে এই প্রকল্পটি চলমান রাখবেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top