উচ্চতর গবেষণায় শিক্ষকদের সহায়তা দেবে মন্ত্রণালয়
 প্রকাশিত: 
 ১৬ মার্চ ২০২৩ ১২:০৩
 আপডেট:
 ৪ নভেম্বর ২০২৫ ২০:১৮
                                উচ্চতর গবেষণায় সহায়তা পাবেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষকরা। শিক্ষাখাতে উচ্চতর গবেষণা সহায়তা কর্মসূচির অধীনে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে গবেষণা প্রস্তাব আহ্বান করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বুধবার (১৫ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব ড. মো. ফরহাদ হোসেনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উন্নত প্রযুক্তির আহরণ, উদ্ভাবন ও প্রয়োগের বিস্তৃতি সাধনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ ও সমাজবিজ্ঞানী গড়ে তোলার সহায়তা দেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
যে ১১টি ক্ষেত্রে গবেষণা প্রস্তাব আহ্বান করা হয়েছে সেগুলো হলো- গাণিতিক বিজ্ঞান, জীবন সম্পর্কিত বিজ্ঞান, ভৌত বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, আইসিটি, মেরিন সায়েন্স, এসডিজি ও অষ্টম পঞ্চ বার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক গবেষণা, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, বাংলাদেশের পাবলিক পলিসি, ব্যবসায় শিক্ষা ও বাংলাদেশ উন্নয়ন অধ্যয়ন।
আগামী ৩০ জুনের মধ্যে আবশ্যিকভাবে প্রজেক্ট কনসেপ্ট নোট ফরম পূরণ করে অনলাইনে নির্ধারিত লিংকের মাধ্যমে পাঠাতে হবে। গবেষকরা সারা বছর ধরে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। তবে কেবল ৩০ জুনের মধ্যে পাওয়া আবেদন ২০২৩-২০১৪ অর্থবছরের জন্য বিবেচ্য হবে।
গবেষণা সহায়তা কর্মসূচির বিস্তারিত তথ্য সম্বলিত নীতিমালা ও পিসিএন ফরম নির্ধারিত ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে গবেষকদের।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি সাধারণ, বিশেষায়িত, কারিগরি, কৃষি এবং চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয়সহ জাতীয় ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন স্নাতকোত্তর কলেজগুলোর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত শিক্ষক-গবেষক উচ্চতর গবেষণা সহায়তার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এছাড়া সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা গবেষণার সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন বা গবেষণা কর্ম করতে আগ্রহী তারাও আবেদন করতে পারবেন।
গবেষণা সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু শর্ত দিয়েছে মন্ত্রণালয়। শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে, আবেদনকারীকে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রজেক্ট কনসেপ্ট নোট বা পিসিএন দাখিল করতে হবে। মৌলিক ও ফলিত গবেষণাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। মানসম্পন্ন দেশি-বিদেশি জার্নালে প্রকাশনা ও গবেষণা অভিজ্ঞাতা সম্পন্ন আবেদনকারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। আবেদনকারী গবেষক দল বা গবেষক যার আন্তজাতিক বা জাতীয় পর্যায়ে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপে প্রবন্ধ উপস্থাপনা বা অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা আছে এমন আবেদনকারী প্রাধান্য পাবেন। নূন্যতম গবেষণা অবকাঠামো, চলমান গবেষণা সংখ্যা, গবেষণা প্রকাশনা ও গবেষণা কর্মকাণ্ডের বৈদেশিক সংযোগমান সন্তোষজনক হতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গবেষণার বিষয়বস্তু দেশে প্রয়োগ উপযোগী ও সময়ের প্রেক্ষাপটে জাতীয় চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। গবেষণার বিষয়ে ইতোমধ্যে সাফল্য বা নির্ভরযোগ্যতা বা আশাব্যঞ্জক বুৎপত্তি অর্জন করেছেন এমন আবেদনকারীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এ কর্মসূচির আওতায় আবেদনকারীর কোনো চলমান গবেষণা থাকতে পারবে না।

                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: