রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪শে ভাদ্র ১৪৩১


ভক্তদের ক্রীতদাসের মতো খাটাতেন এই মডেল


প্রকাশিত:
১৬ জুলাই ২০২৪ ১১:১২

আপডেট:
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৬:৩০

ফাইল ছবি

ক্যাট টোরেস। তিনি ব্রাজিলের জনপ্রিয় মডেল। সামাজিক মাধ্যমে তার রয়েছে ব্যাপক ফ্যান-ফলোয়ার্স। এই সুযোগে তিনি ভক্তদের সঙ্গে করতেন প্রতারণা। অভিযোগ ওঠে, তিনি জোরপূর্বক যৌনতায় লিপ্ত হতে বাধ্য করেন একাধিক নারী ভক্তকে। খাটাতেন ক্রীতদাসের মতো। চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৮ বছর জেল হয়েছে তার।

ক্যাট টোরেস বর্তমানে আমেরিকার বাসিন্দা। মাঝে গুজব ছড়ায় টাইটানিক খ্যাত লিওনার্দো দি ক্যাপ্রিওর সঙ্গে সম্পর্ক জড়িয়েছেন তিনি। যার ফলে সামাজিক মাধ্যমে হু হু করে তার ভক্ত বেড়ে গিয়েছিল। এর মধ্যেই দুই নারি দাবি করেন, টোরেস তাদের পাচার করে দিয়েছিলেন। মডেল যখন নিজের বাড়িতে তাদের রেখেছিলেন, তখন বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতা হয়েছিল।

প্রতারিত নারীরা জানান, টোরেসের বিলাসবহুল জীবনে আকৃষ্ট হয়েছিলেন। তারা এমন একজন বন্ধুর সঙ্গে থাকতে চেয়েছিলেন, যিনি নিয়মিত হলিউড তারকাদের সঙ্গে ওঠা-বসা করেন। আনা নামের এক তরুণী জানান, টোরেসের প্রতি মুগ্ধতায় মাত্র ২০০০ ডলারের বিনিময়ে রান্না, পোশাক পরিচ্ছন্ন করার কাজ এবং পোষা প্রাণী দেখভালের কাজে যোগ দেন মডেলের বাড়িতে। সেই সময় তাকে নোংরা সোফায় শুতে বাধ্য করা হয়। চব্বিশ ঘণ্টা টোরেসের ফরমায়েশে খাটতে হতো। কেবল কয়েক ঘণ্টা ঘুমের জন্য ছুটি দেওয়া হতো তাকে।

তুমুল অত্যাচারে আনা পালালে ডেজিরি এবং লেটিসিয়া নামের দুই নারীকে ভাড়া করেন টোরেস। তাদের নিজের টেক্সাসের বাড়িতে রাখেন। অল্প কিছুদিনের মধ্যে ডেজিরি এবং লেটিসিয়াকে স্থানীয় স্ট্রিপ ক্লাবে কাজ করতে চাপ দেন। টোরেস ‘জাদুবিদ্যার’ অনুষ্ঠান করতেন ওই ক্লাবে। এক সময় ডেজিরিকে পতিতাবৃত্তিতেও রাজি করিয়ে ফেলেন। এভাবেই টোরেসের জালে একাধিক নারী ভক্ত জড়ান বলে অভিযোগ ওঠে। জনপ্রিয় মডেলের বিরুদ্ধে ২০ জন নারী মুখ খুলেছেন। যার পর তদন্ত চালায় আমেরিকার তদন্তকারী সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top