বিয়ে নয়, আগে রাজের সঙ্গে একত্রবাস: সামান্থা
প্রকাশিত:
১৭ মে ২০২৫ ১৫:১০
আপডেট:
১৭ মে ২০২৫ ১৮:৩৭

দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু অবশেষে প্রেমে পড়েছেন। কাউকে মন দিয়েছেন। অনুমান অভিনেত্রীর অনুরাগীদের। সামান্থার এক ঘনিষ্ঠ সূত্র যা জানাল।
এর আগে অভিনেত্রী ভালোবেসে ঘর বেঁধেছিলেন নাগা চৈতন্যের সঙ্গে। ২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর ভারতের পর্যটন নগরী গোয়ার একটি রিসোর্টে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন এ তারকা জুটি। ২০২১ সালে এ জুটির সংসার ভাঙার গুঞ্জন চাউর হলে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ২ অক্টোবর যৌথ এক বিবৃতিতে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন।
এরপর দুজনার দুটি পথ দুদিকে। চৈতন্যের সঙ্গে বিচ্ছেদের মূল কারণই ছিল শোভিতা ধূলিপালার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা। এরপর অভিনেতা চৈতন্য অভিনেত্রী শোভিতা ধূলিপালাকে বিয়ে করে সংসারী হয়েছেন।
অন্যদিকে বিবাহবিচ্ছেদের পর বেশ বিষন্ন হয়ে পড়েছিলেন সামান্থা রুথ প্রভু। তাই তার অনুরাগীরা অপেক্ষায় ছিলেন—কবে আবার প্রেমে পড়বেন অভিনেত্রী? অবশেষে অপেক্ষার অবসান ঘটেছে।
দক্ষিণী পরিচালক রাজ নিদিমোরুর সঙ্গে সামান্থার সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা চলছে। তবে এখনই বিয়ে নয়; তারা নাকি একত্রবাস করবেন। এ সম্পর্ক নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি সামান্থা কিংবা রাজ। তবে সামান্থার শেয়ার করে নেওয়া একটি ছবি জল্পনা বেড়েছে।
এক বিমানযাত্রার সময়ে রাজের কাঁধে মাথা রেখে ছবি তোলেন সামান্থা। অভিনেত্রীর এক ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছেন, চর্চিত যুগল নাকি একসঙ্গে থাকার কথা ভাবছেন। বিয়ে নয়, সামান্থা ও রাজ—কিছু দিন একসঙ্গে থাকার পরিকল্পনা করেছেন। তার জন্য বাড়ি খোঁজাও শুরু করে দিয়েছেন এ প্রেমিক যুগল। ওদের একত্রবাস করার ইচ্ছে ছিল। সেদিকেই ওরা এগোচ্ছেন।
উল্লেখ্য, সামান্থার আগে শ্যামলী দে নামে এক সহপরিচালকের সঙ্গে বিবাহিত ছিলেন রাজ নিদিমোরু। ২০১৫ সালে রাজের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন তিনি। ২০২২ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়। মনোবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছেন শ্যামলী। বিশাল ভরদ্বাজ ও রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরার সঙ্গে সহপরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন।
এ ছাড়া ‘ওমকারা’, ‘রং দে বসন্তী’র মতো সিনেমায় সৃজনশীল উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করেছেন শ্যামলী দে। এদিকে ‘সিটাডেল হানি বানি’-তে কাজ করতে গিয়েই নাকি সামান্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় রাজ নিদিমোরুর বলে জানা গেছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: