কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় নতুন মোড়, কাঠগড়ায় সালমান খান
প্রকাশিত:
৩০ জুলাই ২০২৫ ১১:০৫
আপডেট:
৩১ জুলাই ২০২৫ ০৪:৫২

১৯৯৮ সালে সালমান খানের ওপর রাজস্থানের যোধপুরে ছবির শুটিং চলাকালীন দুটি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ ওঠে। সে সময় তিনি যোধপুরের কাছে মাথানিয়ার বাওয়াদে সুরজ বারজাতিয়ার ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’-এর শুটিং করছিলেন।
কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় প্রধান অভিযুক্ত ছিলেন সালমান খান। যোধপুর জেলার মুখ্য বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছরে সাজা ঘোষণা করেন। তবে ওই মামলায় অভিযুক্ত সাইফ আলি খান, সোনালি বেন্দ্রে, টাবু, নীলম এবং দুষ্যন্ত সিংকে খালাস দেওয়া হয়। ২০১৮ সালের রায়ে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলা থেকে আইনিভাবে রেহাই পেলেও আবারও আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হতে পারে বলি তারকাদের।
ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজস্থান হাইকোর্ট সোমবার (২৮ জুলাই) সালমানের বিরুদ্ধে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় দেওয়া সাজার বিরুদ্ধে ২২ সেপ্টেম্বর আপিলের শুনানির জন্য তারিখ ধার্য্য করেছে। একইদিনে বিচারপতি মনোজ কুমার গার্গ রাজস্থান রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে করা একটি আপিল শুনবেন। ওই আপিলে সালমান খানের সহ-অভিযুক্তদের (অভিনেতা সাইফ আলি খান, টাবু, সোনালি বেন্দ্রে, নীলম এবং স্থানীয় বাসিন্দা দুষ্যন্ত সিং) খালাসের বিরুদ্ধে করা হয়েছে।
দুটি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগে দীর্ঘ ২৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে মামলা টানছেন বলিউড সুপারস্টার সালমান খান। হাজতবাসও করেছেন। পাশাপাশি অনবরত পেয়ে আসছেন হত্যার হুমকি।
২০১৮ সালের ৫ এপ্রিল, ট্রায়াল কোর্ট সালমান খানকে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। তবে ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আপিল আবেদন করেন অভিনেতার আইনজীবী। আপিল আবেদনের পর এরইমধ্যে কেঁটে গেছে ৭ বছর। প্রযুক্তিগত কারণে সালমান খানের আপিলটি জেলা ও দায়রা আদালত থেকে হাইকোর্টে স্থানান্তর হতে দীর্ঘ সময় লেগেছে বলে জানিয়েছে প্রসিকিউশনের আইনজীবী মহীপাল বিষ্ণোই।
তিনি বলেন,’সালমান খানের আইনজীবীরা আগে জেলা ও দায়রা আদালতে দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি ট্রান্সফার পিটিশন (স্থানান্তর আবেদন) দাখিল করেছিলেন, যাতে রাজ্য সরকারের আপিলের সঙ্গে তা একত্রিত করে শুনানি করা যায়।’
তিনি আরও জানান, কিছু প্রযুক্তিগত কারণে স্থানান্তরে দেরি হয়, যার ফলে উভয় আপিলের শুনানি দীর্ঘদিন ধরে স্থগিত ছিল।
এদিকে দীর্ঘ সময়ের সূত্রতায় রাজস্থান রাজ্য সরকারের আপিলের সঙ্গে একত্রিত করে শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়। ওই আপিলে রাজ্য সরকার সালমান খানসহ অন্যান্য অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি করেছে।
ডিএম /সীমা
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: