ইপনার কার্যক্রমে প্রশংসা ডা. এবিএম আবদুল্লাহর
প্রকাশিত:
১৭ জুন ২০২৩ ১৮:৪৪
আপডেট:
৯ এপ্রিল ২০২৫ ০৫:৪৯

ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরোডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজমের (ইপনা) কার্যক্রমের প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, শুরুতে ইপনার কার্যক্রমের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমার সংশয় থাকলেও বর্তমানে আমি খুবই আনন্দিত।
শনিবার (১৭ জুন) সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ইপনার পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্তের মাধ্যমে ইপনার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। শুরুতে মনে করেছিলাম এটা দিয়ে কী হবে? এটি বাস্তবে রূপ পাবে কি না? এখন দেখে খুব ভালো লাগছে।
অটিজম নিয়ে ইপনার কার্যক্রম প্রশংসনীয় উল্লেখ করে অধ্যাপক আব্দুল্লাহ বলেন, ইপনা সংশ্লিষ্টরা বিষয়গুলো খুব সহজ করে মানুষের মাঝে পৌঁছে দিচ্ছেন। ইপনার যে কোনো প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন সবসময় সহযোগিতা করবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বিএসএমএমইউ ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক ও লেখক ডা. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ইপনা প্রতিটি ঘরে আশার বাণী নিয়ে আসছে। আমরা চাই, এ দেশের সব মানুষ ভালো থাকুক, যারা সুবিধাবঞ্চিত তারা সুন্দরভাবে বেঁচে থাকুক, এটি আজকের দিনের প্রত্যাশা।
বিএসএমএমইউর প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন বলেন, আমিও এখনো অটিজম ডায়াগনোসিস পুরোপুরি করতে পারি না। এজন্য সারাদেশের সব মেডিকেল কলেজের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অনুরোধ করছি। এতে চিকিৎসকরা সহজে রোগটি ধরতে পারবেন। যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে পারবেন।
এ সময় সুচিকিৎসা নিশ্চিতে রোগীর ডাটাবেজের অপরিহার্যতার কথা তুলে ধরে অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন বলেন, এটি করতে হলে অনেক গবেষণা দরকার। তবে এতে সহজে চিকিৎসা দেওয়া যাবে।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল বলেন, যেহেতু পাঁচ বছর হয়ে গেছে, ইপনা এখন সামনে এগিয়ে যাবে। একটি প্রতিষ্ঠান প্রথম পাঁচ বছর টিকে থাকার লড়াই করতে হয়। পরে আর বেগ পেতে হয় না।
অটিজম প্রতিরোধে পাবলিকলি সচেতনতা প্রোগ্রামের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এতে প্রাথমিকভাবে অটিজম চিহ্নিত করা যায়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: