বুধবার, ৯ই জুলাই ২০২৫, ২৫শে আষাঢ় ১৪৩২


রিজিক বৃদ্ধির ৪ উপায়


প্রকাশিত:
৯ জুলাই ২০২৫ ১৭:৪৭

আপডেট:
৯ জুলাই ২০২৫ ২৩:০১

ছবি সংগৃহীত

উত্তম রিজিকের (জীবিকা) জন্য মানুষ বাহ্যিকভাবে পরিশ্রম করে ও নিজেকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করে। কিন্তু শুধু পরিশ্রম ও যোগ্যতাই একজন মানুষকে রিজিক দান করে না, বরং এর পেছনে রয়েছে কিছু আত্মিক ও রুহানিয়াতভিত্তিক উপাদান। চারটি আত্মিক গুণ চর্চার মাধ্যমে রিজিককে বরকতময় ও ব্যাপক করা সম্ভব।

রিজিক বৃদ্ধির এই উপায়গুলো একজন মানুষকে শুধু দুনিয়াতে সফলতা দেবে না, বরং একজন মুমিনের ঈমানী পরিপূর্ণতা ও আত্মিক উন্নয়নের পথও সুগম করবে। রিজিক বৃদ্ধির এমন চারটি পদ্ধতি তুলে ধরা হলো এখানে—

১. আল্লাহভীতি (তাকওয়া)

আল্লাহ বলেন : যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে, তিনি তার জন্য উত্তরণের পথ বের করে দেন এবং তাকে এমন উৎস থেকে রিজিক দেন, যা সে কল্পনাও করতে পারে না। (সূরা আত-তালাক, আয়াত : ২-৩)

তাকওয়া মানে—পাপ থেকে বাঁচা, আত্মা পরিশুদ্ধ রাখা এবং আল্লাহর ভালোবাসা ও ভয়কে অন্তরে ধারণ করা। প্রকৃত তাকওয়ার অধিকারী ব্যক্তি আল্লাহর পক্ষ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সাহায্য ও রিজিক পেয়ে থাকেন।

২. আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা (তাওয়াক্কুল)

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন : যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা রাখে, আল্লাহ তার সব দায়িত্ব নিজে নিয়ে নেন এবং তাকে এমন উৎস থেকে রিজিক দেন, যা তার ধারণার বাইরে। (হায়াতুল মুসলিমিন)

তাওয়াক্কুল মানে হচ্ছে—পরিশ্রম করেও ফলাফলের ব্যাপারে আল্লাহর উপর সন্তুষ্ট থাকা ও পূর্ণ আস্থা রাখা। এটি শুধু মানসিক অবস্থান নয়, বরং তা আল্লাহর একত্ববাদে দৃঢ় বিশ্বাসেরও প্রতিফলন।

৩. অটল বিশ্বাস (একিন)

আল্লাহ বলেন : এ কোরআন মানুষের জন্য প্রমাণ, আর যারা নিশ্চিত বিশ্বাস রাখে তাদের জন্য হেদায়াত ও রহমত। (সূরা আল-জাসিয়া, আয়াত : ২০)

যে ব্যক্তি মনে প্রাণে বিশ্বাস করে যে তার রিজিক একমাত্র আল্লাহর হাতে, সে ব্যক্তি কোনো দুশ্চিন্তায় ভোগে না। এই একিনই তাকে আস্থা দেয়, চিন্তামুক্ত রাখে এবং আল্লাহর সহায়তায় কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণে সক্ষম করে তোলে।

৪. ক্ষমা প্রার্থনা (ইস্তিগফার)

হাদিসেকুদসিতে আল্লাহ তায়ালা বলেন : হে আদম সন্তান! তুমি যতক্ষণ আমাকে ডাকবে এবং আমার কাছে আশা রাখবে, আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেব। যদি তোমার পাপ আকাশ পর্যন্ত পৌঁছায়, তারপর তুমি ক্ষমা চাও—আমি ক্ষমা করব। আমি পরোয়া করি না। (মিশকাত)।

রাসুল (সা.) নিজেও আল্লাহর মেহেরবানির ওপর নির্ভর করতেন। হাদিসের এই ভাষ্য অনুযায়ী, নিয়মিত ইস্তিগফার একজন মানুষের রিজিকে বরকত দেয় এবং জীবনে প্রশান্তি দান করে।

সূত্র : অ্যাবাউট ইসলাম

ডিএম /সীমা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top