স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর
সরকারি হাসপাতালকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে আয়-ব্যয়ের স্বাধীনতা জরুরি
প্রকাশিত:
২৩ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:১৩
আপডেট:
২৩ এপ্রিল ২০২৫ ২৩:৩৮

সরকারি হাসপাতালগুলোর আয় অর্থ মন্ত্রণালয়ে না গিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজেদের ব্যবস্থাপনায় ব্যবহার করা যায় এমন ব্যবস্থার প্রস্তাব করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর ডা. জয়নাল আবেদিন টিটো।
তিনি বলেন, এতে হাসপাতালগুলো আরও স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে এবং নিজস্ব আয় থেকে জনবল ও সেবা মানে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীতে নিপসম অডিটোরিয়ামে বিশ্ব ল্যাবরেটরি দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. জয়নাল বলেন, আমাদের হাসপাতালগুলোতে ২৪ ঘণ্টা ল্যাবরেটরি খোলা রাখা উচিত। এতে রোগী দ্রুত ফলাফল পাবে, চিকিৎসা দ্রুত শুরু হবে। তিনটি রোটেশন চালু করলে ৫ মিনিটেই রিপোর্ট দেওয়া সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, সরকার যদি হাসপাতালগুলোর উপার্জিত অর্থ নিজেরা ব্যবহার করার অনুমতি দেয়, তাহলে অনেক হাসপাতাল নিজেদের ব্যয় চালাতে পারবে, বরং উল্টো রাজস্ব আয়ও সম্ভব। এটি এক ধরনের আত্ম নির্ভরতা তৈরি করবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, উপজেলা পর্যায়েও রক্ত সঞ্চালন বিভাগ চালু করা উচিত এবং দুইটি করে ব্লাড ব্যাংক থাকা দরকার। রোগ নির্ণয়ের জন্য শুধু মেশিন থাকলেই হয় না, দক্ষ টেকনোলজিস্টও প্রয়োজন।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে এখনো চিকিৎসক, নার্স বা টেকনোলজিস্টদের জন্য নিয়মিত সরকারি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেই। অথচ পৃথিবী প্রতিনিয়ত আপগ্রেড হচ্ছে, আমাদেরও সেই গতিতে এগোতে হবে।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্য খাতে কার্যকর সংস্কার আনতে হলে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের উপযুক্ত মর্যাদা ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে হবে। তাদের জন্য ঝুঁকি ভাতা, রেশনিং সুবিধা ও দশম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবিও পুনরায় উঠে আসে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন আমেরিকান রেজিস্টার্ড সাইন্টিস্ট মো. সোহেল রানা। এ সময় আলোচনায় আরও অংশ নেন- নিপসম পরিচালক ডা. জিয়াউল ইসলাম, আইএইচটি ঢাকার অধ্যক্ষ ডা. মুজিব উদ্দিন, সাইক গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা আবু মু ইয়াহইয়া হোসেন, জাতীয় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট পরিষদের সভাপতি মো. আব্দুস সামাদ এবং ইউকে শিক্ষার্থী আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ।
বক্তারা আশা প্রকাশ করেন, প্রধান অতিথির বক্তব্য অনুযায়ী নীতিগত পরিবর্তন দ্রুত বাস্তবায়িত হলে দেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতে একটি বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: