বুধবার, ১৪ই মে ২০২৫, ৩১শে বৈশাখ ১৪৩২


আরও ৩৯ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিলো ইসরায়েল


প্রকাশিত:
২৭ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:৩৮

আপডেট:
১৪ মে ২০২৫ ১৯:৪৯

দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে বাড়িতে ফিরে আসার পর বাবার কপালে চুমু খাচ্ছেন মোহাম্মাদ আল-আওয়ার। ছবি-সংগৃহীত

দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে বাড়িতে ফিরে আসার পর বাবার কপালে চুমু খাচ্ছেন মোহাম্মাদ আল-আওয়ার। ছবি-সংগৃহীত

হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে হওয়া চারদিনের যুদ্ধবিরতির চুক্তির অংশ হিসেবে তৃতীয় দফায় ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি বন্দি। এর আগে তৃতীয় ব্যাচে ১৩ ইসরায়েলিসহ আরও ১৭ বন্দির মুক্তি দেয় হামাস।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চার দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে বন্দি বিনিময়ের তৃতীয় দিনে ৩৯ ফিলিস্তিনি বন্দির তৃতীয় ব্যাচকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তাদের মুক্তি উপলক্ষ্যে রোববার রাতে অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লায় বিশাল সংখ্যক ফিলিস্তিনি জনতা রাস্তায় নেমে আসেন।

সেখানে তারা মুক্তি পাওয়া বন্দিদের বহনকারী রেড ক্রসের বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এসময় কেউ কেউ ফিলিস্তিনের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল হামাস ও ফাতাহ-এর পতাকার পাশাপাশি ফিলিস্তিনি পতাকাও ওড়ান।

শাকির মাহাজনা নামে এক ব্যক্তি তার পরিবারের সাথে তার ছেলে ওমরের জন্য রামাল্লায় অপেক্ষা করছিলেন। তার ছেলে ওমরের বয়স সম্প্রতি ১৮ বছর হয়েছে জানিয়ে শাকির আল জাজিরাকে বলেন, ‘প্রথমে আমরা বিশ্বাস করিনি। শেষবার যখন আমি তাকে দেখতে গিয়েছিলাম তখন সে হতাশ হয়ে পড়েছিল। সে আমাকে বলেছিল- ‘বাবা আমি এখান থেকে চলে যেতে চাই’। তার ছেলেকে যখন গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তখন তার বয়স ১৬ বছর ছিল বলেও জানান তিনি।

নুর আরার নামে এক নারীর ১৭ বছর বয়সী ভাই জেইদকে গত জুলাইয়ে গ্রেপ্তার হয়েছিল। আল জাজিরাকে তিনি বলেছেন, ‘অক্টোবরে যা ঘটেছে তার পরে আমি আরও ভয় পেয়ে যাই। যুদ্ধের কারণে সবকিছু স্থগিত করা হয়েছিল। বিচারও হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা খুশি, কিন্তু আমরা মিশ্র অনুভূতি অনুভব করছি। গাজায় যা ঘটছে তাতে আমাদের আনন্দ অসম্পূর্ণ।’

এদিকে রামাল্লা ছাড়াও কাছাকাছি বেইতুনিয়ায়ও কিছু ফিলিস্তিনি জড়ো হয়েছিলেন। ইসরায়েলি বাহিনী তাদের লক্ষ্য করে তাজা গুলিবর্ষণ করার পর ১৫, ১৮ এবং ৩৩ বছর বয়সী তিনজন ফিলিস্তিনি আহত হন বলে প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিআরসিএস) জানিয়েছে।

পিআরসিএস আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর নিক্ষেপ করা টিয়ার গ্যাসের কারণে ১১ ও ১৩ বছর বয়সী দুটি শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং পরে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এর আগে ইসরায়েলের সঙ্গে চারদিনের যুদ্ধবিরতির তৃতীয় দিনে ১৭ বন্দিকে মুক্তি দেয় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল রোববার জানিয়েছে, বন্দিদের রেডক্রসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৩ জন ইসরায়েলি। আর বাকি চারজন বিদেশি নাগরিক।

আর বিবিসি জানিয়েছে, ১৩ ইসরায়েলি, তিন থাই এবং এক রাশিয়ানকে রেডক্রসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে হামাস নিশ্চিত করেছে।

উল্লেখ্য, দেড় মাসেরও বেশি সময় যুদ্ধ চলার পর গত শুক্রবার চারদিনের যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে পৌঁছায় হামাস ও ইসরায়েল। এ চুক্তি অনুযায়ী, হামাস ৫০ ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেবে। অপরদিকে ইসরায়েল তাদের কারাগার থেকে ১৫০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে। সোমবার এই চুক্তির শেষ দিন।

ইসরায়েল হুমকি দিয়ে আসছে, যুদ্ধবিরতি শেষ হলেই তারা আবারও গাজায় হামলা চালানো শুরু করবে। তবে কাতারসহ অন্যান্য দেশগুলো বলছে, যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো হবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : editordailymail@gmail.com, newsroom.dailymail@gmail.com
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top