পুতিনের বাসভবনে হামলায় ‘অত্যন্ত ক্ষুব্ধ’ ট্রাম্প
প্রকাশিত:
৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ ১০:১৬
আপডেট:
৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:৫৬
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সরকারি বাসভবনে ড্রোন হামলার ঘটনায় ‘অত্যন্ত ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ‘খুবই সংবেদনশীল সময়ে’ এই হামলা ঘটেছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
সোমবার রাশিয়ার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ নভগোরোদে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সরকারি বাসভবনে ড্রোন হামলা ঘটে। এক বিবৃতিতে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ জানিয়েছেন, সোমবার পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি বিস্ফোরকবাহী ড্রোন নিক্ষেপ করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। তবে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ব্যবস্থার মাধ্যমে সবগুলো ড্রোন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই আটকে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
এই হামলার জন্য ইউক্রেনকে সরাসরি দায়ী করেছেন ল্যাভরভ। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় চলমান শান্তি সংলাপে নিজেদের অবস্থান মস্কো পুনর্বিবেচনা করবে বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।
তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে পাল্টা বলেছেন, শান্তি সংলাপকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য এই হামলা রাশিয়া নিজেই চালিয়েছে।
এদিকে যখন এই হামলা ঘটে, সে সময় ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ও দপ্তর হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করছিলেন ট্রাম্প। বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আজ (রুশ স্থানীয় সময়) ভোরে প্রেসিডেন্ট পুতিন আমাকে জানিয়েছেন হামলার এই ঘটনা। এটা খুবই খারাপ হয়েছে এবং আমি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। খুব সংবেদনশীল সময়ে এই হামলা ঘটেছে।”
হামলার জন্য পরোক্ষভাবে ইউক্রেনকে দায়ী করে কড়া বার্তাও দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, “টমাহকের ব্যাপারটা ভুলবেন না কিন্তু। আমি টমাহক থামিয়েছি। আমি এটা চাইনি।”
প্রসঙ্গত, এর আগে ইউক্রেন বেশ কয়েকবার যুক্তরাষ্ট্রের কাছে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র প্রদানের অনুরোধ জানিরয়েছিল; কিন্তু ট্রাম্প তাতে সাড়া দেননি।
সোমবারের হামলার পরপরই রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দপ্তর ক্রেমলিন থেকে হোয়াইট হাউসে যোগযোগ করা হয়েছিল। হামলার খবর ট্রাম্পকে জানিয়েছেন পুতিনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ।
পরে সাংবাদিকদের উশাকভ বলেছেন, পুতিনের বাসভবনে হামলার খবর শুনে ‘হতবাক’ হয়ে গিয়েছিলেন ট্রাম্প। তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, “ঈশ্বরকে ধন্যবাদ যে আমরা (ইউক্রেনকে) টমাহক দিইনি।”
সূত্র : আরটি

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: