সুয়েজ খালে আটকা জাহাজ, ৫ ঘণ্টা পর মুক্ত
প্রকাশিত:
২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৪:৫৬
আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:৪৭

প্রায় দেড় বছর আগে একই জায়গায় আটকা পড়েছিল পণ্যবাহী একটি জাহাজ। আবারও সুয়েজ খালে জাহাজ আটকের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৩১ আগস্ট) এফিনিটি ভি নামের ২৫০ মিটার দীর্ঘ একটি ট্যাঙ্কার জাহাজ সুয়েজ খালের একটি সরু অংশে আটকে যায়।
জাহাজটি আটকে যাওয়ার ফলে বিশ্বের ব্যস্ততম এই বাণিজ্যপথে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ ছিল চলাচল।
সুয়েজ খাল কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র জর্জ সাফওয়াত মিশরের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল এক্সট্রা নিউজ স্যাটেলাইটকে জানান, বুধবার (৩১ আগস্ট) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে খালের দক্ষিণ ভাগের সরু অংশে আটকা পড়ে সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী ট্যাংকার এফিনিটি ভি। তবে খাল কর্তৃপক্ষের ৫টি টাগবোট দিয়ে বড় ধরনের জটিলতা ছাড়াই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে জাহাজটিকে। এতে ৫ ঘণ্টা সময় ব্যয় হয়েছে।
ট্যাংকার জাহাজ চলাচল পর্যবেক্ষণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্যাংকার ট্র্যাকার্সের তথ্য অনুযায়ী, পর্তুগালে মালপত্র নামিয়ে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল এফিনিটি ভি।
বুধবার (৩১ আগস্ট) খালের যে অংশে আটকা পড়ে এফিনিটি ভি, দেড় বছর আগে ২০২১ সালে মার্চের শেষ দিকে খালের ওই অংশেই আটকা পড়েছিল পণ্যবাহী জাহাজ ‘এভার গিভেন’। প্রায় ছয়দিন লাগাতার প্রচেষ্টার পর সরানো সম্ভব হয়েছিল এভার গিভেনকে।
ওই ছয়দিন নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় খালের দুই পাশে নজিরবিহীন ‘নৌযান জট’ দেখা দিয়েছিল। সেই জটে আটকা পড়েছিল ৩ শতাধিক বাণিজ্যিক জাহাজ।
বিশ্ববাণিজ্যে সুয়েজ খালের গুরুত্ব অনেক। এটি নৌপথে এশিয়া ও ইউরোপের দূরত্ব অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে। এই খাল ব্যবহার করে এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে তুলনামূলক কম খরচে পণ্য পরিবহন করা যায়। বৈশ্বিক পণ্য বাণিজ্যের ১২ শতাংশ সুয়েজ খাল হয়ে পরিবহন করা হয়। ১৮৫৯ থেকে খালটি খননের কাজ শুরু হয়, শেষ হয় ১৮৬৯ সালে।
এক দশক ধরে খালটি খনন করেন ১০ লাখ মিসরীয় শ্রমিক। নির্মাণসামগ্রী পরিবহন করা হতো উট ও খচ্চরের পিঠে চাপিয়ে। গত বছর সুয়েজ খাল দিয়ে প্রায় ১৯ হাজার পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল করেছে। প্রতিদিন গড়ে ৫১টির বেশি জাহাজ এ জলপথ পাড়ি দিয়েছে। গত বছর ১১৭ কোটি টন পণ্য সুয়েজ খাল দিয়ে গন্তব্যে গেছে।
সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: